সময় সংবাদ রিপোর্টঃ আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে ৩০০টি আসনে প্রার্থী চূড়ান্ত করা হলেও ২৩০টি আসনে দলীয় প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে তৃণমূল বিএনপি। তালিকায় পাঁচ সাবেক সংসদ সদস্য আছেন। বাকি আসনগুলোতে পরবর্তী সময়ে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হবে।বুধবার সন্ধ্যায় রাজধানীর পল্টনে তৃণমূল বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন দলটির মহাসচিব তৈমূর আলম খন্দকার। তবে সেসময় তৃণমূল বিএনপির চেয়ারম্যান শমসের মবিন চৌধুরী ও নির্বাহী চেয়ারপারসন অন্তরা সেলিমা হুদা উপস্থিত ছিলেন না।
ঘোষিত প্রার্থী তালিকায় মৌলভীবাজার-২ আসনে সাবেক সংসদ সদস্য এম এম শাহীন, লক্ষ্মীপুর-১ আসনে এম এ আউয়াল, সাতক্ষীরা-৪ আসনে এইচ এম গোলাম রেজা, ঝিনাইদহ-২ আসনে নুরুদ্দিন আহমেদ, মেহেরপুর-২ আসনে আবদুল গণির নাম রয়েছে।
এ ছাড়া দলীয় চেয়ারম্যান শমসের মবিন চৌধুরী সিলেট-৬ (বিয়ানীবাজার-গোলাপগঞ্জ), নির্বাহী চেয়ারপারসন অন্তরা হুদা মুন্সীগঞ্জ-১, মহাসচিব তৈমূর আলম খন্দকার নারায়ণগঞ্জ-১ (রূপগঞ্জ) আসন থেকে মনোনয়ন পেয়েছেন বলে জানানো হয়।
এদিকে জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে আত্মপ্রকাশ করা ‘প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক ফোরাম’র প্রার্থীরাও তৃণমূল বিএনপি থেকে নির্বাচন করবেন বলে জানানো হয়। দলটির চেয়ারম্যান নাজিম উদ্দিন চট্টগ্রাম-৫ আসনে এবং সাধারণ সম্পাদক আজিম উদ্দিন ফেনী-৩ আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন। তবে নির্বাচন কমিশনে সংগঠনটির নিবন্ধন নেই।
তৃণমূল বিএনপির সঙ্গে জোটবদ্ধভাবে নির্বাচন করবে ‘প্রগতিশীল ইসলামী জোট’ নামে আরও একটি রাজনৈতিক মোর্চা। ১৫ দলীয় এ জোটের আহ্বায়ক সাবেক সংসদ সদস্য এম এ আউয়াল লক্ষ্মীপুর-১ আসনে এবং সদস্য সচিব নুরুল ইসলাম খান ময়মনসিংহ-২ আসন থেকে তৃণমূল বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছেন।
গাজীপুর-১ আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা চৌধুরী তানভীর আহমেদ সিদ্দিকীর ছেলে চৌধুরী ইরাদ আহমেদ সিদ্দিকী। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার প্রয়াত সংসদ সদস্য উকিল আবদুস সাত্তারের ছেলে মাইনুল হাসান মনোনয়ন পেয়েছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ থেকে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গোপালগঞ্জ-৩ আসনে কোনো প্রার্থী ঘোষণা করেনি দলটি। এ বিষয়ে তৈমূর আলম বলেন, সেখানে যে প্রার্থী ছিলেন তার ব্যাংক ঋণ আছে। বিকল্প প্রার্থী খুঁজছি।
তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী তালিকায় বেশকিছু আসনে আছে একাধিক প্রার্থীর নাম। এ বিষয়ে তৈমূর আলম জানান, ঠুনকো কারণে অনেকের প্রার্থিতা বাতিল হয়ে যায়। মনোনয়ন ফরম জমা ও প্রত্যাহারের মধ্যে বেশ কিছু সময় পাওয়া যায়। এর মধ্যে যাদের জনপ্রিয়তা বেশি থাকবে, তাদের দলীয় প্রতীক দেওয়া হবে।
দলের প্রার্থী নির্বাচনে মধ্যবিত্ত ও জনগণের সঙ্গে যোগাযোগ আছে এমন ব্যক্তিদের গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, বড় লোকের আড্ডাখানা হয়ে গেছে সংসদ। এই ধারা ভাঙতে চাই।
নির্বাচনে অংশগ্রহণের যৌক্তিকতা তুলে ধরে তৈমূর আলম বলেন, ২০১৪ ও ২০১৮ সালে সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হয়নি। তারপরও সরকার গঠন ঠেকানো যায়নি। এবারও সরকারকে ব্ল্যাংক চেক দেব না, ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে তাদের পাস করতেও দেব না।