Header Border

ঢাকা, মঙ্গলবার, ১২ই ডিসেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ | ২৭শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ (হেমন্তকাল) ১৭.৯৬°সে

দলীয় প্রার্থীর পর জোটের প্রার্থী চূড়ান্ত হবে

সময় সংবাদ রিপোর্ট:আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানিয়েছেন, দলীয় প্রার্থী তালিকার পর নির্বাচনী জোটের শরিকদের প্রার্থীতালিকা চূড়ান্ত করা হবে। নামসর্বস্ব বিভিন্ন দল ও জোট যারা আওয়ামী লীগের মিত্র হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিতে আগ্রহী, তাদেরও কিছু আসন দেওয়া হবে। গতকাল রবিবার আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলটির সংসদীয় বোর্ডের এক বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন। বৈঠকে উপস্থিত নেতারা তথ্যটি নিশ্চিত করেন।

বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে দেড়ঘণ্টাব্যাপী বৈঠকে মূলত মনোনয়নের বিষয়ে আলোচনা হয়। এ ছাড়াও সমসাময়িক রাজনৈতিক ইস্যুতেও কথা বলেন আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতারা। সারাদেশের তিনশ সংসদীয় আসনে তিন দিনে প্রায় চার হাজারের বেশি দলীয় মনোনয়নপ্রত্যাশীর সংখ্যা দেখে কিছুটা বিস্ময় প্রকাশ করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি। তবে দলের অনেককেই শরিকদের জন্য আসন ছাড় দেওয়ার মানসিকতা রাখতে হবে বলেও জানান তিনি। বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দলীয় মনোনয়ন আবেদন ফরম সংগ্রহ ও জমা দেওয়ার শেষ সময় আজ সোমবার সন্থ্যা ৬টা। পরদিন মঙ্গলবার সব ফরম যাচাই-বাছাই করা হবে। এর পর বুধবার বেলা ১১টা থেকে দলীয় মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সাক্ষাৎকার নেবে আওয়ামী লীগের সংসদীয় বোর্ড। আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানম-ির রাজনৈতিক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হবে সাক্ষাৎকার পর্ব। একদিনে এতজনের সাক্ষাৎকার কীভাবে সম্ভব জানতে চাইলে বোর্ডের বৈঠকে উপস্থিত দলটির উপদেষ্টা পরিষদের এক সদস্য বলেন, বিভাগওয়ারী প্রার্থীদের ডাকা হবে। প্রধানমন্ত্রী সবার সঙ্গে কুশলবিনিময় শেষে মনোনয়নপ্রত্যাশীদের প্রতিটি আসনে যে কোনো একজন দলীয় প্রার্থী ঠিক করে দেওয়ার আহ্বান জানাবেন।মনোনয়নপ্রত্যাশীরা একক প্রার্থী চূড়ান্তে ব্যর্থ হলে তাদের অনুরোধে প্রার্থী ঘোষণার দায়িত্ব নেবেন শেখ হাসিনা।

জানা গেছে, সাক্ষাৎকারের দিনই প্রার্থীতালিকা ঘোষণা করা হবে না। এর পর আওয়ামী লীগের নির্বাচনী জোটের সঙ্গে আলোচনা শেষে আগে দল, তারপর জোটের প্রার্থী চূড়ান্ত করবেন শেখ হাসিনা। তবে আওয়ামী লীগের প্রতীক নৌকা নিয়ে কেবল ১৪ দলের শরিকরাই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবে। জোটের অন্য মিত্রদের নিজ নিজ প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশ নিতে হবে বলেও জানিয়েছেন শেখ হাসিনা। আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন ফরম আগ্রহী সবাইকে দেওয়া হলেও প্রার্থী নির্ধারণে ‘উপযুক্ত ব্যক্তিকে’ বাছাই করা হবে। সব সময় ৩০০ আসনেই নিজেদের প্রার্থী ঠিক করা হলেও পরে জোটের প্রার্থীদের জন্য কিছু আসন ছেড়ে দেওয়া হয়। এবারও এভাবেই প্রার্থীতালিকা চূড়ান্ত করা হবে। দলীয় প্রার্থী ঠিক করতে পরে আরও সভা হবে বলেও বোর্ডের বৈঠকে জানান তিনি। বৈঠকে নির্বাচন পেছানোর জন্য ঐক্যফ্রন্ট ও বিএনপির দাবির বিষয়ে আলোচনা উঠলে শেখ হাসিনা জানান, নির্বাচন পেছানোর এখতিয়ার নির্বাচন কমিশনের। আমরা এটুকু নিশ্চয়তা দিতে পারি, একাদশ সংসদ নির্বাচন অবাধ, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু হবে।

আপনার মতামত লিখুন :

আরও পড়ুন

‘এক সপ্তাহের মধ্যেই পেঁয়াজের দাম কমছে’
৩০ দিনে বিএনপি-জামায়াতের ৬০০ নেতাকর্মীর কারাদণ্ড
মানববন্ধনে নিরাপত্তা চেয়ে ডিএমপি কমিশনারকে বিএনপির চিঠি
আন্দোলন জোরদার করতে নতুন কৌশলে বিরোধী দলগুলো
ঘূর্ণিঝড় ‘মিগজাউম’: রাজধানীসহ বিভিন্ন স্থানে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি
পছন্দের থানায় যেতে ওসিদের দৌড়ঝাঁপ

আরও খবর