সময় সংবাদ লাইভ : বগুড়ার ধুনট উপজেলায় টেলিভিশন দেখার কথা বলে ঘরে ঢুকে আপন দুই ভাই পালাক্রমে এক শিশু শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ করেছে। ধর্ষণকালে শিশুটি অসুস্থ হয়ে পড়লে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে দুই ভাই। উপজেলার চৌকিবাড়ি ইউনিয়নের রুদ্রবাড়িয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
সংবাদ পেয়ে থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে ধর্ষক নয়ন শেখকে (১৬) গ্রেপ্তার করেছে। নয়ন শেখ উপজেলার রুদ্রবাড়িয়া গ্রামের আব্দুল মজিদের ছেলে। বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ধুনট থানা থেকে আদালতের মাধ্যমে তাকে বগুড়া জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ধর্ষণের শিকার শিশুটি (১১) রুদ্রবাড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা। তার মা-বাবা জীবিকার তাগিদে ঢাকায় অবস্থান করে। শিশুটি তার দাদা-দাদির অভাবের সংসারে থেকে স্থানীয় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণিতে লেখাপড়া করে।
শিশুটির দাদা-দাদি সরকারি মানবিক সহায়তা কার্যক্রমের তালিকায় নাম ওঠানোর জন্য সোমবার (৬ জুন) রাত ১০টার দিকে চৌকিবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে যান। এ সময় ওই শিশুটি তার ছোট ভাইয়ের সাথে দাদার ঘরে টেলিভিশন দেখছিল। তখন টেলিভিশন দেখার কথা বলে ওই ঘরে প্রবেশ করে প্রতিবেশী আব্দুল মজিদের ছেলে ফজল শেখ (২৪) ও তার ছোট ভাই নয়ন শেখ (১৬)। টেলিভিশন দেখার একপর্যায়ে ফজল ও নয়ন পালাক্রমে শিশুটিকে ধর্ষণ করে। এ সময় শিশুটি অসুস্থ হয়ে পড়লে দুই ভাই ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। পরে রাত ১১টার দিকে শিশুটির দাদা-দাদি বাড়ি ফেরেন। শিশুটির মুখে ঘটনা শুনে থানায় খবর দেন। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নয়ন শেখকে গ্রেপ্তার করেছে
পুলিশ। এ ঘটনায় শিশুটির বাবা বাদী হয়ে মঙ্গলবার রাতে ফজল ও তার ছোট ভাই নয়নের
বিরুদ্ধে থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।
ধুনট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডা. মনিরা আকতার বলেন, ধর্ষণের শিকার শিশুটিকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
ধুনট থানার ওসি কৃপা সিন্ধু বালা এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে নয়ন শেখ ধর্ষণের কথা স্বীকার করেন। তাকে ধর্ষণ মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অপর আসামি ফজলকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।