সময় সংবাদ রিপোর্ট:দুর্নীতির একটি মামলায় ঢাকা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র বিএনপি নেতা সাদেক হোসেন খোকাসহ চারজনের ১০ বছরের কারাদণ্ডের রায় দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে এ মামলায় সাদেক হোসেন খোকার ২০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড এবং অপর তিন আসামির ১০ লাখ টাকা করে অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আজ বুধবার বেলা সোয়া ১১টার দিকে ঢাকার বিভাগীয় বিশেষ জজ মিজানুর রহমান খান এ রায় ঘোষণা করেন। মামলার অপর তিন আসামি হলেন- বনানীর ঢাকা সিটি করপোরেশনের ইউনিক কমপ্লেক্স দোকান মালিক সমিতির সভাপতি আবদুল বাতেন নকি, সাধারণ সম্পাদক মাহমুদ হাসান আজাদ ও গুডলার্ক কার পার্কিং এর ম্যানেজার এইচ এম তারেক। আসামিদের মধ্যে খোকা লন্ডনে পলাতক রয়েছেন। এর আগে বনানী সুপার মার্কেটের কারপার্কিং ইজারায় দুর্নীতির ওই মামলায় গত ১২ নভেম্বর রায় ঘোষণার জন্য ১৯ নভেম্বর দিন ঠিক করেছিলেন। কিন্তু ওইদিন রায় প্রস্তুত করা সম্ভব না হওয়ায় তা পিছিয়ে ২৮ নভেম্বর ধার্য করা হয়।
২০১৫ সালের ২৯ নভেম্বর মামলাটিতে খোকার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছিল ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. কামরুল হোসেন মোল্লা । পরে মামলাটি বিচারের জন্য ঢাকার বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতে পাঠানো হয়।
২০১২ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর শাহবাগ থানায় দুদকের সহকারী পরিচালক মো. মাহবুবুল আলম বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন। মামলাটিতে ২০১২ সালের ৮ নভেম্বর বাংলাদেশ দন্ডবিধির ৪০৯/১০৯ ধারা এবং ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় চার্জশিট দাখিল হয়।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার করে ডিসিসির বনানী সুপার মার্কেট কাম হাউজিং কমপ্লেক্সর বেজমেন্টের কার পার্কিং ইজারার জন্য ২০০৩ সালের দরপত্র আহ্বান করেন। অংশগ্রহণ করা চারটি দরপত্রের মধ্যে মিজানুর রহমান নামে জনৈক ব্যক্তি বাষিক এক লাখ ১০ হাজার টাকায় সর্বোচ্চ দরদাতা নির্বাচিত হন। কিন্তু পরবর্তীতে সাদেক হোসেন খোকা অপরাপর আসামিদের সঙ্গে পরস্পর যোগসাজশে ইজারার কার্যক্রম স্থগিত করেন। এর মাধ্যমে ফেব্রুয়ারি ২০০৩ সাল হতে ফেব্রুয়ারি ২০১১ সাল পর্যন্ত ৩০ লাখ ৮২ হাজার ৩৯৯ টাকা ঢাকা সিটি করপোরেশনের ক্ষতি করেছেন।
২০১৫ সালের ২০ অক্টোবর অবৈধ সম্পদ অর্জনের একটি মামলায় বর্তমানে লন্ডনে অবস্থানরত বিএনপির এই ভাইস চেয়ারম্যানের ১৩ বছরের কারাদন্ড এবং ১১ লাখ টাকা জরিমানা রায় দিয়েছেন আদালত।