সময় সংবাদ রিপোর্ট: আগামী এক মাসের মধ্যেই দেশের ২৫টি ভেন্যুতে উন্নয়নমূলক কাজ শুরু করবে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। গ্যালারি-উইকেট তৈরি এবং রক্ষণাবেক্ষণে যা যা প্রয়োজন সব সহযোগিতা করা হবে বোর্ডের পক্ষ থেকে। সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম পরিদর্শন শেষে সংবাদমাধ্যমে এ কথা জানান বিসিবির মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান তানভীর আহমেদ টিটু।এদিকে সিলেটের ভেন্যু ঠিকঠাক থাকলেও আবাসন সমস্যার কারণে এত দিন ম্যাচের সংখ্যা কম ছিল চায়ের দেশে। এবার সে আক্ষেপটাও শেষ হবে বলে নিশ্চিত করেছেন বিসিবি পরিচালক ওবেদ নিজাম।ক্রিকেটের বিকেন্দ্রীকরণ কিংবা আঞ্চলিক ক্রিকেট সংস্থা এখনো দূরের স্বপ্ন বাংলাদেশে। কিন্তু, ভিন্ন এক উপায়ে ক্রিকেটকে তৃণমূলে ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে চলেছে ক্রিকেট বোর্ড। জেলায় জেলায় ঘুরে মাঠ পরিদর্শন শেষে তালিকা করা হচ্ছে সমস্যাগুলোর। এরপর সেসব সমাধানে রিপোর্ট দেওয়া হবে বিসিবির ফ্যাসিলিটিজ এবং গ্রাউন্ড কমিটির কাছে।
বাস্তবতা মেনে নিলে এগুলো সবই হচ্ছে-হবে, কিংবা কালক্ষেপণের কথা মনে হতেই পারে। এই কমিটির কাছ থেকে ওই কমিটি এভাবেই হয়তো ফাইলবন্দি হয়ে থাকবে সমস্যাগুলো। কিন্তু বিসিবির নতুন কমিটির কর্মতৎপরতা দেখে অবশ্য আশাবাদী হতে পারেন সবাই। কারণ ইতোমধ্যে চার জেলা ভ্রমণ শেষ তাদের। দেখা হয়েছে গ্যালারি এবং উইকেটের অবস্থাও। প্রস্তুত হয়েছে সমস্যাসংবলিত তালিকা, এবার কাজ দেখানোর পালা পরিদর্শন করা আগের ভেন্যুগুলোর তুলনায় হিসাব করলে সিলেট রীতিমতো স্বয়ংসম্পূর্ণ স্টেডিয়াম। হোটেল নিয়ে কিছু অভিযোগ ছিল, সেগুলো এখন অতীত। এর উইকেট নিয়ে তেমন কোনো সমস্যা না থাকলেও আউট ফিল্ডটা ভোগাচ্ছে ইদানীং। তাই তো দ্রুত সমাধান শেষে আন্তর্জাতিক ম্যাচের পাশাপাশি ঘরোয়া আসরের নিয়মিত ম্যাচ আয়োজনের প্রতিশ্রুতি দিলেন বিসিবি পরিচালক।সিলেটের পাশাপাশি শেরপুর, টাঙ্গাইল ও নেত্রকোনার মাঠগুলো মনে ধরেছে কর্তাদের। বড় আসরের আগে এজ লেভেল এবং স্কুল ক্রিকেট দিয়ে এবার সেগুলোতেও পরীক্ষামূলক ক্রিকেট শুরু করতে চান তারা।ভেন্যু পরিদর্শনের ধারাবাহিকতায় আরও বেশ কয়েকটি জেলায় যাওয়ার পরিকল্পনা আছে বিসিবি পরিচালকের।