*সময় সংবাদ লাইভ রির্পোটঃ প্রায় চার ঘণ্টার অভিযান শেষে আলোচিত নায়িকা পরীমণিকে আটক করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। এ সময় তার বনানীর বাসা থেকে বিপুল পরিমাণ বিদেশি মদ, ভয়ঙ্কর মাদক এলএসডি ও আইস জব্দ করা হয়েছে।
বুধবার (০৪ আগস্ট) রাত সোয়া ৮টার দিকে বনানীর বাসা থেকে পরীমণিকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য র্যাব সদর দপ্তরে নিয়ে যাওয়া হয়।
পরীমনিকে আটক করার পর দেশে নীল ছবি তৈরির চক্রের হদিশ পেলেন র্যাবের গোয়েন্দারা। পরীমনিকে আটকের পর তার ঘনিষ্ঠ নজরুল ইসলাম রাজের বাসায় হানা দিয়ে মাদক, সেক্স টয়সহ সহ পর্ন ছবি তৈরির বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করেছেন তাঁরা। পরীমনি ও রাজের বাসা থেকে বিপুল পরিমাণ বিদেশী মদ ও পর্ন ছবি তৈরির নানা সরঞ্জাম উদ্ধার করে র্যাবের গোয়েন্দারা। তাদের সাথে নিষিদ্ধ পর্নোগ্রাফি তৈরির সাথে জড়িত ইতোমধ্যে গ্রেফতার মডেল পিয়াসাসহ ঢাকার শোবিজ তারকাদের অনেকেই। এই চক্রের বেশ কয়েকজন মাদক ও অস্ত্র কারবারের সঙ্গেও জড়িয়েছেন। তাদের ব্যাপারে বিস্তারিত জানতে পরীমনির পাশাপাশি তার প্রযোজককে রাজকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। পরীমনির বিরুদ্ধে ব্ল্যাকমেইলিং ও মাদক ব্যবসার অভিযোগও রয়েছে।
র্যাব সূত্রে জানা গেছে, টাকার নেশায় সিনে জগতের আড়ালে নিষিদ্ধ পর্নো ব্যবসায় নাম লেখান পরীমনিসহ বেশ কয়েকজন মডেল-অভিনেত্রী। কয়েকটি ব্যাংকে পরীর মোটা অঙ্কের টাকা রয়েছে। যার বেশিরভাগই তিনি পেয়েছেন শুভাকাঙ্ক্ষীদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার সুবাদে। এজন্য পরী তার ঘনিষ্ঠ মডেলদের মাধ্যমে একটি চক্র গড়ে তোলেন। উঠতি মডেল এবং চিত্রনায়িকাদের পর্নোছবি তুলে পাঠানো হতো কথিত হাই-প্রোফাইলদের কাছে। তার মাধ্যমে অনেকে ব্ল্যাকমেইলিংয়ের শিকার হন।
এ বিষয়ে র্যাবের গোয়েন্দা অনুসন্ধান চলমান। বেআইনি কর্মকাণ্ডের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে র্যাবের গোয়েন্দা শাখার পরিচালক লে. কর্নেল খায়রুল ইসলাম বলেন, পরীমনি ছাড়াও বেশ কয়েকজন মডেল-অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে নিষিদ্ধ পর্নোগ্রাফির অভিযোগ পাওয়া গেছে।