Header Border

ঢাকা, শুক্রবার, ৪ঠা অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৯শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ (শরৎকাল) ২৭.৭৭°সে
শিরোনাম
প্রধান উপদেষ্টার সাথে বিভিন্ন দিক নির্দেশনা নিয়ে সেনা প্রধানের সাক্ষাৎ সেনাবাহিনীর এই অভিযানে একজন অপরাধীও যেন বাদ না যায় ! সেনাবাহিনীর এই অভিযানে একজন অপরাধীও যেন বাদ না যায় ! অন্তর্বর্তী সরকারকে আরও সময় দিতে চায় বিশ্ব সম্প্রদায় ! ফিলিস্তিনকে সমর্থন ও ইসরাইলকে বয়কটের আহ্বান এরদোগানের আজ ঢাকায় সমাবেশ,৯ মহানগরে শোভাযাত্রা;নতুন বার্তা দেবেন তারেক রহমান মোজাম্মেল-শাহরিয়ার-শ্যামল ৭ দিনের রিমান্ডে ডিসি নিয়োগ নিয়ে আজও বিক্ষোভ সচিবালয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে কাছে ৯টি দফা দাবি জানিয়েছে নদী ও প্রাণ-প্রকৃতি নিরাপত্তার সামাজিক সংগঠন ‘নোঙর ট্রাস্ট’। ভারত পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর সঙ্গে প্রভুত্বের রাজনীতি করেছে: মির্জা ফখরুল

নির্বাচনে অযোগ্য হচ্ছেন সব ঋণখেলাপি

সময় সংবাদ রিপোর্ট:সব ধরনের ঋণখেলাপিকে নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করা হচ্ছে। অন্য দিকে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের বাইরে এনজিও থেকে মেয়াদি ঋণ গ্রহীতাদের বাংলাদেশ ব্যাংকের ক্রেডিট ইনফরমেশন ব্যুরোর (সিআইবি) ও মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটির (এমআরএ) ডেটা বেইজে অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে। এ জন্য হালনাগাদ করা হচ্ছে সিআইবি। তবে এটা করতে দুই বছর সময় লাগতে পারে। তাই আগামী জাতীয় নির্বাচনে কিছু ঋণখেলাপি দুশ্চিন্তামুক্ত থাকবেন। বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্র জানিয়েছে, বর্তমানে এমআরএ ক্ষুদ্র ঋণদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য আলাদা সিআইবি গঠন করছে। বাংলাদেশ ব্যাংক এতে সহযোগিতা করছে। সংশ্লিষ্টরা আশা করছেন, আগামী দুই বছরের মধ্যে এটি গঠিত হবে। এটি হলে ক্ষুদ্রঋণ খেলাপিদেরও শনাক্ত করা সহজ হবে। তখন নির্বাচনের সময় এ খাতের খেলাপিদেরও ঠেকিয়ে দেয়া যাবে।

সূত্র আরো জানায়, সর্বশেষ সিআইবি থেকে সার্কুলার জারি করা হয়েছিল গত ১৬ এপ্রিল। ওই সার্কুলারে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে নেয়া এক টাকা ঋণও সিআইবি অনলাইন সিস্টেমে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এর আগে ৫০ হাজার টাকার ওপরে নেয়া ঋণগ্রহীতাদের তথ্য সিআইবিতে অন্তর্ভুক্ত করতে হতো। এর নিচে কেউ ঋণ নিলে তা বাংলাদেশ ব্যাংকের সিআইবিতে অন্তর্ভুক্ত করা হতো না। নিজ নিজ ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো এসব ঋণের তথ্য সংরক্ষণ করত। মূলত সব ঋণ গ্রহীতার তথ্য সিআইবির ডাটা বেইজে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য এ নির্দেশনা দেয়া হয়েছিল।

ব্যাংক কোম্পানি আইন অনুযায়ী কোনো ঋণখেলাপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারেন না। নতুন করে ঋণও নিতে পারেন না। তাই ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ঋণখেলাপিরা স্থানীয় সরকার ও জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারেন না। এ কারণে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার জন্য আগ্রহী প্রার্থীরা আগে থেকেই ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ঋণ পরিশোধ করতেন।

জানা গেছে, ১৯৯১ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশ সংশোধন করে ব্যাংকের ঋণখেলাপিদের নির্বাচনে অংশ নেয়ার অযোগ্য ঘোষণা করা হয়। ২০০৮ সালের সংসদ নির্বাচনের আগে ব্যাংকের পাশাপাশি নন ব্যাংকিং আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর ঋণখেলাপিদেরও নির্বাচনে অংশগ্রহণের অযোগ্য ঘোষণা করা হয়। এ জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সিআইবিতে ব্যাংকের পাশাপাশি আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর ঋণ গ্রহীতাদেরও তথ্য ভাণ্ডার গড়ে তোলা হয়। ওই সময়ে সংশোধিত আইন অনুযায়ী, ক্ষুদ্র কৃষিঋণ ছাড়া ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে নেয়া যেকোনো ঋণ বা তার কিস্তি পরিশোধে ব্যর্থ হলে তিনি খেলাপি বলে গণ্য হবেন। নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার তারিখের ৭ দিন আগে প্রার্থীকে ঋণখেলাপির দুর্নাম মুক্ত হতে হবে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্র জানিয়েছে, এনজিও থেকে নেয়া মেয়াদি ঋণখেলাপিরা যাতে স্থানীয় ও জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে না পারেন তার জন্য সিআইবি হালনাগাদ করার কাজ শুরু করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এ জন্য প্রয়োজনীয় অবকাঠামোগত দিক তৈরি করা হচ্ছে। এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক ও এমআরএ কাজ করছে। তাদের অবকাঠামোগত কাজ সম্পন্ন হলে আইনগত কাঠামো তৈরি করা হবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে।

জানা গেছে, ক্ষুদ্র ঋণ প্রতিষ্ঠানগুলোও এখন মেয়াদি ঋণও দিচ্ছে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে এর পরিমাণ ৮ থেকে ১০ লাখ টাকারও বেশি। এত দিন ক্ষুদ্র ঋণ প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ নিয়ে কেউ খেলাপি হলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান ছাড়া অন্য কোনো প্রতিষ্ঠান শনাক্ত করতে পারত না। ফলে এক প্রতিষ্ঠানের ঋণখেলাপিরা অন্য প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ নিতে পারত। একই সাথে ক্ষুদ্র ঋণ গ্রহীতাদের জন্য সিআইবি ছিল না। ফলে তাদের শনাক্ত করা সম্ভব হতো না। সিআইবি হালনাগাদ করা হলে এখন এটা শনাক্ত করা সম্ভব হবে বলে সংশ্লিষ্টরা আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্র জানায়, বর্তমানে সারা দেশে এমআরএ নিবন্ধন নিয়ে ৭৫৮টি প্রতিষ্ঠান ক্ষুদ্র ঋণ বিতরণ করছে। এ ছাড়া ১২১টি প্রতিষ্ঠান ক্ষুদ্র ঋণ কার্যক্রম পরিচালনার জন্য এমআরএ থেকে লাইসেন্স নিয়েছে। সারা দেশে এসব প্রতিষ্ঠানের ১৬ হাজার ২৮৪টি শাখা রয়েছে। তাদের ঋণ গ্রহীতা প্রায় দুই কোটি ৩২ লাখ ৮০ হাজার। তারা ৭৮ হাজার ৭০০ কোটি টাকা ঋণ বিতরণ করেছে। সদস্যদের সঞ্চয়ের পরিমাণ প্রায় ১৭ হাজার ৭০০ কোটি টাকা। এ ছাড়াও সমবায় অধিদফতর, সমাজসেবা অধিদফতর থেকে অনুমোদন নিয়ে অনেক প্রতিষ্ঠান ক্ষুদ্র ঋণ কার্যক্রম চালাচ্ছে। এর বাইরে সরকারি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক), পল্লী উন্নয়ন অধিদফতরসহ আরো কিছু প্রতিষ্ঠান ক্ষুদ্র ঋণ কার্যক্রম চালাচ্ছে।

আপনার মতামত লিখুন :

আরও পড়ুন

প্রধান উপদেষ্টার সাথে বিভিন্ন দিক নির্দেশনা নিয়ে সেনা প্রধানের সাক্ষাৎ
সেনাবাহিনীর এই অভিযানে একজন অপরাধীও যেন বাদ না যায় !
সেনাবাহিনীর এই অভিযানে একজন অপরাধীও যেন বাদ না যায় !
অন্তর্বর্তী সরকারকে আরও সময় দিতে চায় বিশ্ব সম্প্রদায় !
ফিলিস্তিনকে সমর্থন ও ইসরাইলকে বয়কটের আহ্বান এরদোগানের
আজ ঢাকায় সমাবেশ,৯ মহানগরে শোভাযাত্রা;নতুন বার্তা দেবেন তারেক রহমান

আরও খবর