সময় সংবাদ রিপোর্টঃ বাংলাদেশের ক্রিকেট এখন ত্রিমুখী। এক দিকে ক্রিকেটাররা, অন্যদিকে বিসিবি এবং আরেকদিকে ক্রিকেটপ্রেমীরা। টি-২০ বিশ্বকাপে যাচ্ছেতাই পারফরম্যান্সের পর বিসিবি কর্মকর্তা ও ক্রিকেটপ্রেমীদের সমালোচনায় ত্যক্ত-বিরক্ত ক্রিকেটাররা পাল্টা উত্তর দিচ্ছেন। আয়নায় নিজেদের চেহারা দেখতে বলছেন। বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসে এর আগে এমনটি দেখা যায়নি কখনো। সুপার টুয়েলভে টানা ৫ ম্যাচ হারে ক্রিকেটারদের সমালোচনার তরবারীতে এফোর-ওফোর করলেও আলোচনার বাইরে ছিলেন কোচিং স্টাফসহ টিম ম্যানেজমেন্ট। এবার বিসিবি নড়েচড়ে বসেছে। বিশ্বকাপে মাহমুদুল্লাহদের বাজে পারফরম্যান্সের জন্য রাসেল ডোমিঙ্গো, অ্যাশওয়েল প্রিন্স, ওটিশ গিবসন, রায়ান কুকদের ভবিষ্যৎ নিয়ে বসেছে বিসিবি। ক্রিকেটাররা দেশে ফেরার দিন গত শুক্রবার বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন বাসায় বসেছিলেন বোর্ড পরিচালকদের নিয়ে। সভায় বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ক্রিকেটে যা আমূল পরিবর্তন আনবে বলে বিশ্বাস বিসিবি পরিচালক খালেদ মাহমুদ সুজনের। তিনি বলেন, ‘আমাদের পাইপলাইন এমন নয় যে, রেডি করা প্ল্যান ম্যাসিভ চিন্তা করবেন। বহু পরিবর্তন হবে। ম্যাসিভ একটা চেঞ্জ আসতেও পারে। সেটি কোন ফরম্যাটে আসবে, তা বলতে পারব না।’টি-২০ বিশ্বকাপে এতোটা বাজে পারফরম্যান্স করবে দল- ক্রিকেটারতো নয়ই, বিসিবি কিংবা ক্রিকেটপ্রেমীরাও বুঝতে পারেননি। ৮ ম্যাচে জয় মাত্র দুটি। তাও আবার প্রথম রাউন্ডে পাপুয়া নিউ গিনি ও ওমানের বিপক্ষে। হার স্কটল্যান্ড, ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, শ্রীলঙ্কা, দক্ষিণ আফ্রিকা ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে। ক্রিকেটারদের পারফরম্যান্স ছিল যাচ্ছেতাই। ফিল্ডিংয়ে ক্যাচ ছেড়েছে ৯টি।
এর আগে ২০০৩ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপেও বাংলাদেশের পারফরম্যান্স ছিল লজ্জাজনক। গ্রুপের ৬ ম্যাচের মধ্যে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ম্যাচটি বাতিল হয়েছিল বৃষ্টিতে। বাকি পাঁচ ম্যাচের ফল ছিল একপেশে। হেরেছিল কেনিয়া ও কানাডার কাছে। ওই পারফরম্যান্সের পর পুরো কোচিং স্টাফ পাল্টে ফেলেছিল বিসিবি। এবারও সেই পথে হাঁটার ইঙ্গিত দিয়েছে।পাকিস্তান সিরিজের পরপরই হয়তো টাইগারদের কোচিং স্টাফে আমূল পরিবর্তন আসবে। ডমিঙ্গো গংদের পরিবর্তে দায়িত্ব তুলে দেওয়া হতে পারে চন্ডিকা হাতুরাসিংহের হাতে। হাতুরার কোচিংয়েই বাংলাদেশ প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনাল খেলেছিল। দেখা যেতে পারে ঘরোয়া ক্রিকেটে সফল কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিনকে। ক্রিকেটের এই পরিবর্তনের দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয়েছে পরিচালক খালেদ মাহমুদ সুজনের কাঁধে।শুধু কোচিং স্টাফেই নয়, পরিবর্তন আসছে নির্বাচক প্যানেলসহ ক্রিকেট স্কোয়াডেও। আসন্ন পাকিস্তান সিরিজে বাদ পড়ছেন লিটন দাস, সৌম্য সরকারসহ আরও ৫ থেকে ৬ জন। তাদের জায়গায় নেওয়া হয়েছে নাজমুল হোসেন শান্তসহ ৭ ক্রিকেটার। প্রধান নির্বাচক হিসেবে দেখা যেতে পুনরায় ফারুক আহমেদকে। তিনি এর আগে আরও দুইবার প্রধান নির্বাচক ছিলেন।
m/p….