সময় সংবাদ রিপোর্ট:রাজধানীর নয়াপল্টনে পুলিশের সঙ্গে বিএনপির কার্যালয়ের সামনে পুলিশের সঙ্গে নেতাকর্মীদের ব্যাপক ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। আজ বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টার পর এই সংঘর্ষ বাধে। সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। পুলিশের তিনটি গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে দলের নেতামকর্মীরা। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। তবে মনোনয়ন কার্যক্রম বন্ধ রেখেছে বিএনপি।
মনোনয়ন সংগ্রহে বিএনপি কার্যালয়ের বাইরে উপচে পড়া ভীড় লেগেছিল। অপরদিকে বেলা ১১টার দিকে নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ে বড় শোডাউন নিয়ে মনোনয়ন ফরম নিতে আসেন ঢাকা-৮ আসনের মনোনয়নপ্রত্যাশী বিএনপি নেতা মির্জা আব্বাস। এ কারণে আশেপাশের সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে।
যান চলাচল ঠিক করতে ওই শোডাউনে নেতাকর্মীদের নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে দুই কর্মীর ওপর পুলিশ লাঠিচার্জ করে পুলিশ। মূলত তার পর পরই সংঘর্ষ শুরু হয়।
পরে নেতাকর্মীরা উত্তেজিত হয়ে পুলিশকে ধাওয়া করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এ সময় ককটেল বিস্ফোরণও ঘটানো হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশও তাদের পাল্টা ধাওয়া করে লাঠিপেটা করে। নেতাকর্মীদের লক্ষ্য করে টিয়ারশেল ও গুলি ছোঁড়ে পুলিশ। বিএনপির নেতাকর্মীরা এসময় পুলিশের তিনটি গাড়ি ভাঙচুর করে আগুন লাগিয়ে দেয়।
এ ঘটনায় আহত হন অসংখ্য নেতাকর্মী। পুলিশের ছররা গুলিতে গুলিতে আহত হয়েছেন ঢাকা অঞ্চলের নেতাকর্মী মনির হোসেন, মো. কাদির, মেহেদী হাসান, মহিউদ্দীন রতন, মোস্তাক, সুমন, করিম, মকবুল হোসেন। আরও আহত হয়েছেন পিরোজপুরের শামছুল হক ও আসাদুজ্জামান, মাদারীপুরের শাখাওয়াত হোসেন। তাদের সবাইকে রাজধানীর কয়েকটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ছাড়া আহত আরও নেতাকর্মীরা বিএনপি কার্যালয়ে আশ্রয় নিয়েছেন।
এ ঘটনায় আহত হয়েছেন এর নারী নেত্রী। তবে তিনি কোন এলাকার বা অঞ্চলের তা জানা যায়নি। ঘটনা চলার সময় আহতদের একজনকে আঞ্জুমানে মফিদুলের গাড়িতে করে হাসপাতালের দিকে নিয়ে যেতে দেখা গেছে। কার্যালয়ের তিনদিকের গেট বন্ধ করে দলের নেতাকর্মীরা ভেতরে অবস্থান করছেন। তবে কার্যালয়ের বাইরে অন্যান্য নেতাকর্মীরা এখনও অবস্থান করে শ্লোগন দিচ্ছেন। মনোনয়ন কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়েছে।