*সময় সংবাদ লাইভ রিপোর্টঃ পদ্মা সেতুর পিলারে আবারও ফেরির ধাক্কায় এক নারীসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। গতকাল সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে বাংলাবাজার থেকে ছেড়ে আসা ফেরি বীরশ্রেষ্ঠ জাহাঙ্গীর সেতুর ১০ নম্বর পিলারে ধাক্কা খায়। বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) শিমুলিয়াঘাটের ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) মো. ফয়সাল গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ফেরিটি বাংলাবাজারঘাট থেকে শিমুলিয়াঘাটের দিকে আসছিল। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে পদ্মা সেতুর মাওয়া প্রান্তে সেতু অতিক্রম করার সময় ১০ নম্বর পিলারে ধাক্কা লাগে। এতে ফেরিতে থাকা একটি ট্রাক পাশের একটি প্রাইভেটকারের ওপর পড়লে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ সময় ফেরিতে থাকা এক নারীসহ অন্তত পাঁচ আহত হয়েছেন। পরে শিমুলিয়া ২ নম্বর ঘাটে ফেরিটি নোঙর করলে যাত্রী ও যানবাহন নামানো হয়।
মাওয়া নৌপুলিশ সূত্র জানায়, ধাক্কা লেগে ১০ নম্বর পিলারের দক্ষিণ-পশ্চিম কোণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফেরির পেছনের অংশেও ক্ষতি হয়েছে।
এর আগে ২৩ জুলাই নির্মাণাধীন সেতুটির ১৭ নম্বর পিলারের সঙ্গে ‘শাহজালাল’ নামের একটি রো রো ফেরির ধাক্কা লাগে। এতে ফেরিটির অন্তত ২০ যাত্রী আহত হন। ঘটনার পরপরই ফেরির ইনচার্জ ইনল্যান্ড মাস্টার অফিসার আব্দুর রহমানকে বরখাস্ত করে বিআইডব্লিউটিসি।
এ ঘটনার দিনই বিআইডব্লিউটিসি তদন্ত কমিটি করে। ২৫ জুলাই কমিটি তাদের প্রতিবেদন জমা দেয়। এতে সেতুর সুরক্ষায় তিনটি সুপারিশ করা হয়। এর একটিতে পিলারগুলো প্লাস্টিক দিয়ে মোড়ানোর কথাও বলা হয়েছে।
এ ছাড়া বর্তমান যে শিমুলিয়া ফেরিঘাট আছে, সেই ঘাটটি সরিয়ে পুরোনো মাওয়া ঘাটে নিয়ে যাওয়ার কথা বলা হয় সুপারিশে। যুক্তি হিসেবে বলা হয়, সে ক্ষেত্রে ফেরিগুলোকে সেতু ক্রস করতে হবে না। পুরোনো মাওয়া ঘাট থেকে ফেরি বাংলাবাজার চলে যাবে।
আর যদি সেটা সম্ভব না হয় সে ক্ষেত্রে বাংলাবাজার ফেরিঘাটকে সরিয়ে মাঝিরঘাটে নিয়ে আসার সুপারিশ করে কমিটি। সে ক্ষেত্রেও ফেরিগুলোকে সেতু ক্রস করতে হবে না। সেতু যেহেতু ক্রস করতে হবে না, তাই আগামীতে দুর্ঘটনা ঘটারও আশঙ্কা থাকবে না।
ওই তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের পর পদ্মা সেতুর পিলারে রো রো ফেরি ‘শাহজালালের’ ধাক্কার ঘটনায় বিশদ তদন্তে ২৯ জুলাই পৃথক একটি কমিটি করে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়।
কমিটিকে ১০ কার্যদিবসের মধ্যে নৌসচিবের কাছে সুপারিশসহ তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে নির্দেশ দেয়া হয়।