সময় সংবাদ রিপোর্ট : মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির তাইওয়ান সফরে বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়বে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। তাদের মতে, বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার পাশাপাশি চীন-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কের আরও অবনতি ঘটবে। পেলোসির এই সফর রাজনৈতিক খেলা ছাড়া আর কিছুই না বলেও দাবি অনেকের।ন্যান্সি পেলোসির তাইওয়ান সফর বিশ্ব রাজনীতিকে কতটা হুমকির মুখে ফেলতে পারে তা নিয়ে চলছে নানা হিসাব। এরই মধ্যে পেলোসির সফর ঘিরে ভিন্ন ভিন্ন মত পোষণ করেছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। সোমবার (১ আগস্ট) চীনের গ্লোবাল টেলিভিশন নেটওয়ার্ক আয়োজিত সাক্ষাৎকারে পেলোসির তাইওয়ান সফরের নানামুখী প্রভাব নিয়ে আলোচনা হয়। অনুষ্ঠানে চীনের রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলেন, পেলোসি নিজের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক স্বার্থ হাসিলের জন্যই তাইওয়ানে গেছেন। তার এ সফর চীনা নীতির লঙ্ঘন বলেও মন্তব্য করা হয়। পেলোসির তাইওয়ান সফর বিশ্ব অর্থনীতিকে আরও অস্থিতিশীল করার পাশাপাশি এ অঞ্চলে দীর্ঘমেয়াদি সামরিক উত্তেজনা তৈরি করবে বলে উদ্বেগ জানানো হয়।লিচেং নামে একজন বিশ্লেষক বলেন, পেলোসির সফরের পেছনে সামরিক উত্তেজনা সৃষ্টি ও অস্ত্র বিক্রির লক্ষ্য কাজ করছে। রাশিয়ার তুলনায় আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থার সঙ্গে চীনের সম্পৃক্ততা অনেক বেশি। যে কারণে পেলোসির এই সফর বিশ্ব অর্থনীতির জন্য হুমকি।
একই শঙ্কা প্রকাশ করেছেন কম্বোডিয়ার রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। আঞ্চলিক নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়ার পাশাপাশি চীন-যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কে আরও তিক্ততা তৈরি হবে বলেও সতর্ক করেন তারা। সোমবারের ওই সাক্ষাৎকারে তাইওয়ান ইস্যু চীনের অভ্যন্তরীণ বিষয়, আর এতে যুক্তরাষ্ট্রের হস্তক্ষেপ করা একেবারেই উচিত নয় বলে মন্তব্য করেছেন কলম্বিয়ান বিশ্লেষক ক্যাসট্রিলন ক্যারিগান।তিনি বলেন, চলমান অস্থিরতার মধ্যে বিশ্ব যখন সমাধানের পথ খুঁজছে, তখন পেলোসির তাইওয়ান সফর সবাইকে ভাবিয়ে তুলেছে। তাইওয়ান ইস্যু চীনের অভ্যন্তরীণ বিষয়। বাইরের কারও হস্তক্ষেপ এ সমস্যার সমাধান নয়।এদিকে ন্যান্সির তাইওয়ান সফরকে অর্থহীন বলছেন ফ্রান্সের রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। তাদের মতে, তাইওয়ান প্রেসিডেন্ট তেসাই ইং-ওয়েনের সঙ্গে ন্যান্সি পেলোসির বৈঠক রাজনৈতিক খেলারই অংশ। ন্যান্সি পেলোসির তাইওয়ান সফর বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক নিরাপত্তার জন্য কী ফল বয়ে নিয়ে আসে, সেদিকেই এখন নজর সবার।