২৭.১৮°সে
সময় সংবাদ লাইভ রির্পোটঃ
ভর্তি পরীক্ষায় প্রক্সিকাণ্ডের গডফাদার রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মুসফিক তাহমিদ তন্ময়। প্রক্সি দিতে গিয়ে আটক সাবেক শিক্ষার্থী বায়েজিদ খান, তন্ময়ের নাম প্রকাশ করেছেন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে। পরে অনুসন্ধান চালিয়ে তার একটি ব্যাংক হিসাব নম্বরেই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ৪২ লাখ টাকা লেনদেনের প্রমাণ পাওয়া গেছে।
২৬ জুলাই রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘এ’ ইউনিটে ভর্তি পরীক্ষায় প্রক্সি দিতে গিয়ে আটক হন ফোকলোর বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী বায়েজিদ খান। গ্রেপ্তারের পর তিনি জানান, প্রক্সি দিতে মুসফিক তাহমিদ তন্ময় তাকে ভাড়া করে এনেছেন।
তন্ময় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সস্পাদক। তার বাবা আমিনুল ইসলাম গাইবান্দার তারাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান। তন্ময় শুধু রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় নয়, দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি জালিয়াতিসহ মাদক বাণিজ্যের সাথে জড়িত বলে অভিযোগ নিজ দলের নেতাদেরই।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান মিশু জানান, তন্ময়ের বিরুদ্ধে মাদক সেবনের পাশাপাশি ব্যবসাতেও জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছিল। এমনকি এ নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে এ সংক্রান্ত সংবাদ প্রচার হয়। দীর্ঘদিন থেকেই বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি বাণিজ্যের সাথে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত বলেও অভিযোগ করেন ছাত্রলীগ নেতা মেহেদী হাসান মিশু।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি কাজী আমিনুল ইসলাম জানান, তার বিরুদ্ধে যেহেতু অভিযোগ উঠেছে তাই তদন্ত সাপেক্ষে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া উচিত।
অনুসন্ধানে দেখা গেছে, তন্ময়ের বৈধ আয়ের কোনও উৎস নেই। তবে ২০১৬ সালের ২২ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা অগ্রণী ব্যাংকে খোলা একটি হিসাবে চলতি বছরের জুলাই পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন স্থান ঢুকেছে ৪২ লাখ ২৪ হাজার ৭৫৮ টাকা।
বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ বলছে, তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে সুপারিশ করা হবে। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনু জানান, তন্ময়ের ব্বিরুদ্ধে অভিযোগ সত্য প্রমাণিত হলে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটিকে জানানো হবে। এছাড়া সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়ার কথাও জানান বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি গোলাম কিবরিয়া বলেন, ‘তন্ময় জড়িত থাকলে অবশ্যই সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বলছে, কেউ লিখিত অভিযোগ দিলে প্রচলিত আইনে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সময় সংবাদ লাইভ।
