সময় সংবাদ রিপোর্টঃ টলিউড পাড়ায় জয়া আহসানের যাতায়াত পাক্কা এক দশকের। এই সময়ে বেশ কিছু দর্শকনন্দিত সিনেমায় অভিনয় করে সুনাম তো কুড়িয়েছেন বটে। সঙ্গে ঝুলি ভরেছেন পুরস্কারেও। জয়ার এই দৌড়ে অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বী বলা যায় স্বস্তিকা মুখার্জিকে। যিনি আরও অনেক আগে থেকেই টলিউডে প্রতিষ্ঠিত। গ্ল্যামার-মাসালার গণ্ডি ছাড়িয়ে তারা দুজনই গল্প-চরিত্র নির্ভর কাজে মুগ্ধতা ছড়াতে পটু। এজন্য ভক্তরা তাদের ভালোবেসে অভিনয় কিংবা বাংলার দেবী বলেও অভিহিত করেন।
বছরের পর বছর ধরে একই ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করছেন; অথচ জানলে চমকে যেতে হয় যে, তাদের মধ্যে এর আগে কখনও সরাসরি দেখাই হয়নি। একসঙ্গে কাজ তো বহু দূরের কথা! তবে এবার সাক্ষাৎ ও কাজের সেই সাঁকো তৈরি করে দিলো কলকাতার কলকাতার একটি ম্যাগাজিন। তাদের ফটোশুটেই দেখা হয়েছে জয়া-স্বস্তিকার; এরপর একসঙ্গে ক্যামেরাবন্দীও হয়েছেন দুজনে।
‘দ্য নিউ ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস’ পত্রিকার ম্যাগাজিন ‘ইনডালজ’র সৌজন্যেই এক হয়েছেন জয়া-স্বস্তিকা। ফটোশুটের একটি ছবি পোস্ট করে বিষয়টি সামনে এনেছেন পত্রিকাটির জ্যেষ্ঠ সহকারী সম্পাদক শর্মিষ্ঠা ঘোষাল। তিনিও তারকাদ্বয়কে ‘দেবী’ সম্বোধন করেছেন।
লিখেছেন, ‘কে বলেছে এই সময়ে ব্রেকিং নিউজ সম্ভব না? ইনডালজ মাত্রই সেটা করে ফেললো! প্রথমবারের মতো অভিনয়ের দুই দেবী স্বস্তিকা মুখার্জি ও জয়া আহসানকে একসঙ্গে পেলাম আমরা; বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে নতুন ফটোশুটের জন্য।’
শর্মিষ্ঠা জানান, নিজেদের জায়গায় তারা দুজনেই তারকা। কিন্তু জয়া ও স্বস্তিকার এর আগে কখনও সামনাসামনি দেখা হয়নি। আগামী ৩১ মার্চ ম্যাগাজিনটির বিশেষ সংখ্যায় তাদের এই ফটোশুটের বিস্তারিত গল্প উঠে আসবে।
জয়া-স্বস্তিকার এই ফটোশুট দেখে সাধারণ ভক্ত তো বটে, শোবিজ সংশ্লিষ্ট মানুষেরাও মুগ্ধতা প্রকাশ করছেন। শর্মিষ্ঠার পোস্টের কমেন্ট বক্সে তাকালেই সেটা টের পাওয়া যাচ্ছে।
প্রসঙ্গত, টলিউডের গণ্ডি ছাড়িয়ে স্বস্তিকা নিজেকে বলিউডেও প্রতিষ্ঠা করেছেন। সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন হিন্দি সিনেমা ও সিরিজে তার নিয়মিত উপস্থিতি। অন্যদিকে জয়া আহসান ঢালিউড জয় করে টলিউডকেও মুঠোবন্দী করেছেন। কিছুদিন আগে হিন্দি সিনেমায়ও কাজ শুরু করেছেন তিনি। আর প্রথম প্রজেক্টেই সহশিল্পী হিসেবে পেয়েছেন বলিউডের এই সময়ের দাপুটে অভিনেতা পঙ্কজ ত্রিপাঠিকে।