সময় সংবাদ লাইভ রিপোর্টঃ মাধ্যমিকের পর এবার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য সংক্ষিপ্ত পরিসরের সিলেবাস তৈরি করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। সংক্ষিপ্ত এই সিলেবাসের আলোকেই প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদের মেধা যাচাইয়ের পর ওপরের ক্লাসে প্রমোশন দেয়া হবে। করোনার পরিস্থিতির বিবেচনায় মধ্য নভেম্বরে ১৫ দিনের জন্য হলেও প্রাথমিক বিদ্যালয় খুলে দেয়ার একটি পরিকল্পনা রয়েছে। তবে সবকিছু নির্ভর করছে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা আর করোনার পরিস্থিতির ওপরে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, শিক্ষার্থীদের পাঠ্যপুস্তকের মৌলিক সক্ষমতা তৈরিতে ৩০ দিনের সংক্ষিপ্ত সিলেবাস তৈরির কাজ ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। কম সময়ের জন্য হলেও বিদ্যালয় খোলা গেলে ওই সংক্ষিপ্ত সিলেবাস শেষ করে শিক্ষার্থীদের পরবর্তী ক্লাসে তোলা হবে।
এ দিকে জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা অ্যাকাডেমির (নেপ) দায়িত্বশীল একটি সূত্র জানায়, দেশের সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৩৯ দিনের সংক্ষিপ্ত সিলেবাস বাস্তবায়ন করার কথা থাকলেও গত ৩০ অক্টোবর সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নতুন করে আরো ১৪ দিন ছুটি বাড়ানোয় ঘোষণা আসায় এখন আর সেটিও সম্ভব হচ্ছে না। এ কারণে নতুন করে ৩০ দিনের সংক্ষিপ্ত সিলেবাস তৈরির কাজ শুরু করেছে নেপ। শিক্ষার্থীদের পাঠ গ্রহণের সক্ষমতা তৈরিতে এ সিলেবাসটি তৈরি করা হচ্ছে।
সূত্র মতে, আগামী ১৫ নভেম্বর থেকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় খুলতে চিন্তাভাবনা করছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। আর আগামী ১৫ নভেম্বরের মধ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা সম্ভব হলে নেপের সংক্ষিপ্ত সিলেবাসের পাঠকার্যক্রম কার্যকর করে শিক্ষার্থীদের পরবর্তী ক্লাসে তোলা হবে। আর যদি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা সম্ভব না হয়, তবে নিজ নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নিজস্ব পদ্ধতিতে পঞ্চম শ্রেণীসহ সব ক্লাসের সনদ বিতরণ করবে।
সং্িক্ষপ্ত সিলেবাস এবং এটি কার্যকরের বিষয়ে গতকাল মঙ্গলবার নেপের মহাপরিচালক মো: শাহ আলম জানান, করোনার মধ্যে প্রাথমিকের সিলেবাস সংক্ষিপ্ত করার কাজ আমরা আগেই শুরু করেছিলাম। তবে নতুন করে কয়েক দফায় ছুটি বাড়ানোর কারণে এখন আমরা ৩০ দিনের সংক্ষিপ্ত সিলেবাস তৈরির কাজ শুরু করেছি। এখানে বিশেষজ্ঞ লোকজন নিয়ে কাজ করছি। তিনি আরো জানান, কোমলমতি শিক্ষার্থীদের কথা চিন্তা করেই প্রাথমিকের প্রতিটি ক্লাসের সব বিষয়ের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো যুক্ত করে শিক্ষার্থীদের পাঠগ্রহণের সক্ষমতা তৈরির লক্ষ্যে নতুন করে এ সিলেবাস তৈরি হচ্ছে। নতুন সিলেবাসটি আগামী সপ্তাহে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরে পাঠানো হবে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র জানায়, আগামী ১৫ নভেম্বর থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলার বিষয়ে চিন্তাভাবনা করছে সরকার। পরিস্থিতি অনুকূলে থাকলে প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা সম্ভব হলে সংক্ষিপ্ত সিলেবাসটি বাস্তবায়ন করে শিক্ষার্থীদের পরবর্তী শ্রেণীতে উত্তীর্ণ করা হবে। মধ্য-নভেম্বরে প্রাথমিক বিদ্যালয় খুলে দেয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো: জাকির হোসেন জানান, প্রাথমিক বিদ্যালয় খুলে দেয়ার বিষয়ে এখনো সুস্পষ্ট কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে সবকিছু নির্ভর করছে করোনা পরিস্থিতির উন্নতির ওপরে। তবে তিনি আরো জানান, আমরা ৩০ দিনের ও ১৫ দিনের সংক্ষিপ্ত সিলেবাস তৈরি করে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। যখনই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা সম্ভব হবে শিক্ষার্থীদের সেটি পড়িয়ে পরবর্তী ক্লাসে তোলা হবে।