ও মেয়ে
ও মেয়ে, তুমি দাঁড়িয়ে কেন? আসো
নিজের দিকে নজর দিয়ে নিজেকে ভালোবাসো
শুকোতে দাও কান্না তোমার শুকোতে দাও ক্ষত
ভুলে যাও বেদনা তোমার জমা আছে যতো।
ও মেয়ে, তুমি দাঁড়িয়ে কেন? আসো
কান্না ভুলে, দুচোখ মেলে এবার একটু হাসো
আলোর পিঠে, রোদের মাঠে দুঃখগুলো বসাও
গোপন ক্ষত আড়াল করে সুখ দরিয়ায় ভাসাও।
ও মেয়ে, তুমি দাঁড়িয়ে কেন? আসো
নিজে গড়া সেই মন্দিরে ঠাকুর হয়ে বসো
দুঃখগুলো এক এক করে বাইরে মেলে ধরো
সুখগুলো অতি ক্ষুদ্র হলেও তাকেই আপন করো।
ও মেয়ে, তুমি দাঁড়িয়ে কেন? আসো
ভালোবাসার আপন খেয়ায় আপন মনেই ভাসো
পিছের কথা ভুলে এবার সামনে পানে চাও
যেথায় খুশি সেথায় তুমি ইচ্ছেমত যাও।
পরিচয়
আমাদের পরিচয় মুঠোফোনে বলেই
কেউ কারো নাম জানিনা —
কখনো কেউ জানতেও চাইনি।
গভীর রাতের আলাপনে
আমি ওকে “নীদ” বলে ডাকতাম
আর ও?
ও আমাকে ডাকতো “নিশী”।
কথা ছিল যেদিন দেখা হবে
সেদিন দুজন দুজনার নাম জেনে নিবো।
কোনোএক হেমন্তে দেখা হবার কথা ছিল
হেমন্ত এলো —
এলো শীত।
কিন্তু তুমি? তুমি তো এলে না?
সেই মুঠোফোন এখন আর
গভীর রাতে বাজে না।
আমরা কে, কোথায়
কার সাথে আছি, আজও কেউ জানিনা।
প্রতিদিন রাত হয়, প্রতিদিন হয় ভোর
প্রতিদিন প্রতীক্ষা করি —
বর্ষা যায়, যায় শরৎ
ঋতু বদলায়, বছর শেষ হয়
আমি হেমন্তের অপেক্ষা করি।