সময় সংবাদ লাইভ রিপোর্টঃ পিলখানায় সীমান্তরক্ষা বাহিনীর সদরদপ্তরে বিদ্রোহের মধ্যে এক যুগ আগে নৃশংস হত্যাযজ্ঞে নিহত সেনা কর্মকর্তাদের স্মরণ করা হল চোখের পানি আর ফুলেল শ্রদ্ধায়।
রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে তাদের সামরিক সচিবরা গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে বনানীর সামরিক কবরস্থানে নিহত সেনা সদস্যদের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
আইএসপিআর জানিয়েছে, রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের পক্ষে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন তার সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এস এম সালাহ উদ্দিন ইসলাম। আর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন তার সামরিক সচিব মেজর জেনারেল নকিব আহমেদ।
এছাড়া স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ, ভারপ্রাপ্ত নৌবাহিনীর প্রধান রিয়ার এডমিরাল এম আবু আশরাফ, বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল মাসিহুজ্জামান সেরনিয়াবাত, বিজিবির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. সাফিনুল ইসলাম বনানীতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
পিলখানা হত্যাকাণ্ডে নিহত সেনা কর্মকর্তাদের স্বজনরাও বনানীর সামরিক কবরস্থানে এসেছিলেন। তবে তারা গণমাধ্যমের সামনে কথা বলেননি।
২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি সকালে সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিডিআরের দরবার হল থেকে বিদ্রোহের সূচনা হয়। নানা ঘটনাপ্রবাহের মধ্য দিয়ে পরদিন ঘটে এর অবসান। ওই ঘটনায় নিহত হন ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন। রক্তাক্ত সেই বিদ্রোহের পর সীমান্তরক্ষা বাহিনী বিডিআরের নাম বদলে যায়, পরিবর্তন আসে পোশাকে। এ বাহিনীর নাম এখন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বা বিজিবি।
আইএসপিআর জানায়, গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে দেশের সকল সেনানিবাসের কেন্দ্রীয় মসজিদে সকল স্তরের সেনা সদস্যদের উপস্থিতিতে মিলাদ মাহফিল ও বিশেষ মোনাজাতের আয়োজন করা হবে।
আর পিলখানায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদর দপ্তরসহ সকল রিজিয়ন, প্রতিষ্ঠান, সেক্টর ও ইউনিটের ব্যবস্থাপনায় খতমে কোরআন, বিজিবি’র সকল মসজিদ এবং বিওপি পর্যায়ে দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হবে বলে বিজিবির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
এছাড়া আজ শুক্রবার বাদ জুমা পিলখানায় বিজিবির কেন্দ্রীয় মসজিদ, ঢাকা সেক্টর মসজিদ এবং বর্ডার গার্ড হাসপাতাল মসজিদে বিশেষ দোয়া ও মিলাদ হবে।