সময় সংবাদ লাইভ রিপোর্টঃ  বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্মাণাধীন ভাস্কর্য ভাঙচুর করেছে দুর্বৃত্তরা। শহরের পাঁচ রাস্তার মোড়ে নির্মাণাধীন ছিল ভাস্কর্যটি। ভাঙচুরের ফলে ভাস্কর্যটির বিভিন্ন অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গত শুক্রবার রাতের আঁধারে ওই ভাস্কর্যের ডান হাত ও পুরো মুখমন্ডল, বাঁ হাতের অংশ বিশেষ ভেঙে ফেলে দুর্বৃত্তরা।
গতকাল শনিবার সকালে বিষয়টি দৃষ্টিগোচর হলে শহরের বঙ্গবন্ধু সুপার মার্কেট চত্বর ও থানা মোড়ে আওয়ামী, জাসদসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক এবং সামাজিক সংগঠন বিক্ষোভ মিছিল-সমাবেশ ও মানববন্ধন করে।
পৌরসভা কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা যায়, কুষ্টিয়া পৌরসভার উদ্যোগে শহরের পাঁচ রাস্তার মোড়ে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নির্মাণের কাজ চলছে। একই বেদিতে বঙ্গবন্ধুর তিন ধরনের তিনটি ভাস্কর্য নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এছাড়া ওই বেদিতে জাতীয় চার নেতার ভাস্কর্যও নির্মাণ করা হবে। এরই মধ্যে বঙ্গবন্ধুর একটি ভাস্কর্য স্থাপনের কাজ প্রায় শেষের পথে। গত শুক্রবার দিবাগত রাতে কে বা কারা বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যের হাত, মুখ হাতুড়ী দিয়ে ভেঙে ফেলে।
এ ব্যপারে কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার এসএম তানভীর আরাফাত বলেন, ঘটনাস্থলে থাকা সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে। রাত ২টার দিকে দুইজনকে দেখা যাচ্ছে তারা ভাস্কর্য ভাঙচুর করছে। তাদের পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা চলছে। অচিরেই তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।
কুষ্টিয়া-৩ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেন, এ ধরনের নোংরা কাজ কোনোভাবেই মেনে নেওয়া হবে না। যারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে এবং মদদ দিয়েছে, তাদের প্রত্যেককেই খুঁজে বের করে কঠিন শাস্তি  দিতে হবে।
কুষ্টিয়া পৌরসভার প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম বলেন, ভাস্কর্য নির্মাণকাজের প্রায় ৭৫ শতাংশ শেষ হয়েছিল। ভাস্কর্য ভাঙার ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
পৌরসভার মেয়র আনোয়ার আলী বলেন, ধারণা করা হচ্ছে, যারা আওয়ামী লীগের বিরোধী, বঙ্গবন্ধুকে যারা মানতে পারে না; তারাই এ ঘটনা ঘটিয়েছে। পৌরসভার পক্ষ থেকে পুলিশ প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। এ ব্যাপারে থানায় মামলা করা হচ্ছে।
এদিকে এ ঘটনার পর জেলার সবগুলো ভাস্কর্যে অতিরিক্ত নজরদারি শুরু হয়েছে। কালেক্টরেট চত্বরসহ জেলায় যতগুলো ভাস্কর্য আছে সবগুলো সিসি ক্যামেরার আওতায় নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি নজরদারি বাড়ানোর জন্য সংশ্লিষ্ট ইউএনওদেরও  প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।