সময় সংবাদ লাইভ রির্পোটঃ বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম। স্বাধীনতার পর থেকে গেল ৫০ বছরে আয়ের পরিমাণ দাঁড়ায় কয়েকশ’ কোটি টাকায়। অথচ দেশের প্রধান ফুটবল স্টেডিয়ামের বেহাল দশা। নানা অব্যবস্থাপনা ও ম্যাচ আয়োজনের অনুপযোগিতায় প্রশ্ন উঠেছে টাকা যায় কোথায়?
পত্রিকার পাতায়, ক্রীড়া সংগঠকদের কণ্ঠে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের দৈন্য দশার কথা উচ্চারিত হয়েছে অজস্র বার। কিন্তু গৌরবে সমুজ্জ্বল, কালের সাক্ষী হয়ে থাকা বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের বলার মতো সংস্কার হয়নি স্বাধীনতার ৫০ বছরেও। মাঠের বাইরের নোংরা পরিবেশ। গাড়ি আর মানুষের আধিক্যে ঠাসা স্টেডিয়াম পাড়া। এমনটা চোখে পড়ে না তাবদ দুনিয়ায়। এ মাঠ নিয়ে ব্যবহারকারীদের হতাশা ও বিদেশি কোচিং স্টাফদের আক্ষেপ আছে।
কিন্তু বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম তো নিজস্ব আয় থেকেই করতে পারে সংস্কার। শুধু ২০১৯-২০ অর্থবছরে স্টেডিয়ামের দোকান ভাড়া ও গেট পাস থেকে আয় হয় প্রায় ২০ কোটি টাকা। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর গেল ৫০ বছরে যার আয় দাঁড়ায় কয়েকশ’ কোটি। এরপরও কেন এই বেহাল দশা? প্রশ্ন জাগে। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ দায়ী করলেন বাফুফে মাঠ ছেড়ে না দেয়া ও নানা সরকারি অনুষ্ঠানে মাঠ ব্যস্ত থাকাকে।
জাতীয় ক্রীড়াপরিষদের সচিব মাসুদ করিম বলেন, এখানে আমাদের বিভিন্ন জাতীয় দিবসের কর্মসূচি বাস্তবায়িত হয়। যে আয় হয়, সেটা আবার আমাদের এখানেই বরাদ্দ দেওয়া হয়।
যে মাঠকে পুঁজি করে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের আয় হয়েছে শত শত কোটি টাকা। দুহাত উজার করে দেয়া কালের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে থাকা ঐতিহ্যবাহী বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামেরই নিজের কোনো উন্নতি নেই। ক্রীড়াঙ্গণের অভিভাবকেরা কি তার খবর রাখেন।
সময় সংবাদ লাইভ।