সময় সংবাদ রিপোর্ট: ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযান শুরুর পর থেকে একের পর এক হামলায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে দেশটি। এ অবস্থায় সব কিছু হারিয়ে প্রাণে বাঁচতে সীমান্তবর্তী দেশগুলোতে আশ্রয় নিচ্ছেন ইউক্রেনের সাধারণ মানুষ।কনকনে ঠান্ডা, সেইসঙ্গে তুষারপাত। এ প্রচণ্ড ঠান্ডা উপেক্ষা করেই দেশ ছাড়তে বাধ্য হচ্ছেন ইউক্রেনের সাধারণ মানুষ।রুশ বাহিনীর সামরিক অভিযান শুরুর পর থেকে পাল্টে গেছে ইউক্রেনের চিরচেনা রূপ। সব কিছু হারিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন দেশটির সাধারণ মানুষ। শুধু তাই নয়, প্রাণ বাঁচাতে নিজ মাতৃভূমি ছেড়ে ট্রেনে, বাসে বা হেঁটে যে যেভাবে পারছেন পাড়ি জমাচ্ছেন সীমান্তবর্তী দেশগুলোতে।রাশিয়া বেসামরিক নাগরিকদের দেশ ছেড়ে যেতে যুদ্ধ বিরতি ঘোষণার পর ইউক্রেন কর্তৃপক্ষ সকাল ৯টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত তাদের নাগরিকদের জন্য সীমানা খুলে দিয়েছে।এক উদ্বাস্তু বলেন, এত পথ পাড়ি দেওয়ার পর আমি খুব ক্লান্ত। তবু এ সান্ত্বনা যে আমি প্রাণে বেঁচে আছি।দুই সপ্তাহ ধরে রাশিয়ার আগ্রাসনের শিকার ইউক্রেন। কিছু কিছু অঞ্চলে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা হলেও চূড়ান্তভাবে যুদ্ধের সমাপ্তির কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না।
রাশিয়ার শর্ত পূরণের আংশিক ইঙ্গিত দেওয়া হলেও চূড়ান্ত ঘোষণা আসেনি দেশটির প্রেসিডেন্টের কাছ থেকে।চেরনোবিল নিয়ন্ত্রণের সপ্তাহের মাথায় ইউরোপের সবচেয়ে বড় বিদ্যুৎকেন্দ্র জ্যাপোরিঝঝিয়ায় বোমা হামলা চালায় রুশ সেনারা। সেটির নিয়ন্ত্রণ নেওয়ারও দাবি করে তারা। মস্কোর দাবি, ইউক্রেনের সেনাদের হাত থেকে বাঁচাতেই চেরনোবিল ও জ্যাপোরিঝঝিয়া পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্রের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে রাশিয়া।জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থার তথ্যমতে, রুশ বাহিনীর সামরিক অভিযান শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত ইউক্রেনের ২০ লাখেরও বেশি মানুষ দেশ ছেড়ে পোল্যান্ড, রোমানিয়াসহ সীমান্তবর্তী বিভিন্ন দেশে পাড়ি জমিয়েছেন। যাদের মধ্যে সাড়ে ১৩ লাখই পোল্যান্ডের সীমান্ত দিয়ে দেশ ছেড়েছেন।