Header Border

ঢাকা, রবিবার, ৮ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২৪শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ (শরৎকাল) ৩০.৫৮°সে
শিরোনাম

বিএনপি নেতাদের তথ্য সংগ্রহ করছে এসবি, অভিযোগ মির্জা ফখরুলের

সময় সংবাদ রিপোর্ট : বিএনপি মহাসচিব মিজা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘বিএনপি বিশ্বস্ত সূত্রে জানতে পেরেছে- ঢাকাস্থ স্পেশাল ব্রাঞ্চের (এসবি) নির্দেশনা অনুযায়ী দেশের সব জেলার পুলিশ সুপার নিজ নিজ এলাকার সব থানার ওসিকে বেতার বার্তা পাঠিয়েছেন। সেখানে বিএনপিসহ অন্যান্য বিরোধী রাজনৈতিক দল ও অন্যান্য রাজনৈতিক সংগঠনের কমপক্ষে আটজন শীর্ষ ব্যক্তি, প্রতি উপজেলার শীর্ষ পাঁচ ব্যক্তি এবং জেলার সব পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদের অধীন কমপক্ষে পাঁচ ব্যক্তি যারা বর্তমান সরকার বিরোধী চলমান গণআন্দোলনে জনবল সংগঠক বা অর্থায়ন করে কিংবা অন্য কোনোভাবে সহযোগিতা করে এমন ব্যক্তিদের বিস্তারিত তথ্য যেমন ঠিকানা, মোবাইল নম্বর ও এনআইডি নং ইত্যাদি সংগ্রহ করে তার কাছে প্রথমে ইমেইল যোগে এবং পরে হার্ডকপি পাঠাতে নির্দেশ দিয়েছেন।’

এর সমালোচনা করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘যা অত্যন্ত ভয়ংকর, অপ্রত্যাশিত, অসাংবিধানিক, এখতিয়ার বহির্ভূত, গণতান্ত্রিক রীতিনীতি ও সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী আচরণবিধি পরিপন্থি এবং রাজনৈতিক দল তথা গণমানুষের মত প্রকাশের স্বাধীনতা ও আন্দোলন সমাবেশ করার মৌলিক অধিকার বিরোধী।’

শুক্রবার সুপ্রীম কোর্টের তিনজন আইনজীবীকে সঙ্গে নিয়ে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ সংক্রান্ত একটি বেতার বার্তা ভাইরাল হয়েছে। বাংলাদেশ পুলিশের ঢাকাস্থ স্পেশাল ব্রাঞ্চ হেডকোয়াটার্সের বরাত দিয়ে রাঙামাটি জেলার পুলিশ সুপার গত ২৫ সেপ্টেম্বর বেতার বার্তা নম্বর-৩৯০৯ (রাজনৈতিক) নির্দেশ দিয়েছেন। এই বার্তায় ঢাকা স্পেশাল ব্রাঞ্চের মেমো নম্বর-৬১৪(৩৫) তারিখ ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২২ এর রেফারেন্স উল্লেখ করা হয়েছে। অর্থাৎ পুলিশের বিশেষ শাখার নির্দেশনা অনুযায়ীই এই বেতার বার্তা পাঠানো হয়েছে।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বিএনপি এই ধরনের অবৈধ কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানায় এবং আইন প্রয়োগকারী সংস্থাসমূহকে অবৈধ কর্মকাণ্ড বন্ধ করা এবং ভবিষ্যতে নিজদেরকে এই ধরনের আইন ও এখতিয়ারবহির্ভূত স্বেচ্ছাচারী কাজ থেকে নিজদের বিরত থাকার আহ্বান জানাচ্ছে।’

সতর্ক করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘যে সব অতিউৎসাহী দলবাজ কর্মকর্তা এখতিয়ার বহির্ভূতভাবে সরকারি পদবির অপব্যবহার করে অত্যন্ত হীন ও নগ্নভাবে এ সব অবৈধ কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত দেশের সচেতন নাগরিকরা তাদের অবশ্যই চিহ্নিত করে রাখবে।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘পুলিশ বিরোধী রাজনৈতিক দলসমূহের নেতাকর্মীদের যে তথ্য সংগ্রহ করছে তা আমাদের সংবিধান, কিংবা দেশের অন্য কোন প্রচলিত আইন বা বিধি-বিধানের আওতায় তারা করতে পারে না। আমাদের দেশের সংবিধান (অনুচ্ছেদ ২৭, ৩২, ৩৭, ৩৮, ৩৯, ৪১, ৪৪), প্রচলিত আইন এবং আন্তর্জাতিক আইনেও দেশের প্রতিটি মানুষের স্বাধীনভাবে রাজনীতি করা এবং মত প্রকাশের পূর্ণ স্বাধীনতা স্বীকৃত রয়েছে। এই ধরনের তথ্য সংগ্রহ আইনের দৃষ্টিতে অকার্যকর, বেআইনি এবং অসাংবিধানিক।’

তিনি বলেন, ‘প্রায় দেড় দশক ধরে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোকে অত্যন্ত বেআইনি ও স্বেচ্ছাচারি পদ্ধতিতে ব্যবহার করে আসছে শুধুমাত্র রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য। ইতোমধ্যে র‌্যাবের ডিজি, আইজিপি এবং সাবেক সেনাপ্রধানকে বলপূর্বক গুম, বিচারবহির্ভূত হত্যা এবং অন্যান্য গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের সঙ্গে জড়িত থাকার জন্য মার্কিন সরকার কর্তৃক নিষেধাজ্ঞার আওতায় আনা হয়েছে।’

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘বিএনপি মনে করে এই সমস্ত নৃশংসতার পিছনে বর্তমান ফ্যাসিবাদী শাসকই মাস্টার মাইন্ড হিসেবে কাজ করছে। এখন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী উদ্দেশ্যমূলক ভাবে উল্টো বিরোধী নেতাকর্মীদের তথ্য সংগ্রহ করে এক ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টিতে লিপ্ত হয়েছে। এই সমস্ত কাজ শুধু আইনি অধিকারই লঙ্ঘন করে না, নাগরিকদের মৌলিক অধিকারও লঙ্ঘন করেছে।

সংবাদ সম্মেলনে এক সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, প্রধানমন্ত্রী গতকাল সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ভোট চাওয়ার মতো পুঁজি নেই বলে, নির্বাচনে অংশ নিতে ভয় পাচ্ছে- এর জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এই ধরনের কথার অনেক উত্তর দিয়েছি। রাজনৈতিক দল, তার মতামত তিনি দেবেন। শেখ হাসিনাও তার বক্তব্যে বলবেন। এভাবে জনগণের সাথে প্রতারণা করে, মিথ্যা কথা বলে, ভয় দেখিয়ে টিকে আছে। আসলে তারা (আওয়ামী লীগ) ভয়ে আছে, দেশে যদি অবাধ সুষ্ঠু ও গ্রহনযোগ্য নির্বাচন হয়, তাহলে তারা ক্ষমতায় আসতে পারবে না।’

অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘তারা (সরকার) চান বিরোধী দল যাতে নির্বাচনে না আসুক। উনারা ফাঁকা মাঠে গোল দিতে চান।’

এ সময় মির্জা ফখরুল বলেন, ‘দেশে নিরপেক্ষ সরকার ছাড়া কোনো নির্বাচন হবে না। আমাদের দাবি না মানা পর্যন্ত সরকারের সাথে কোনো সংলাপ বা আলোচনা হবে না।’

আপনার মতামত লিখুন :

আরও পড়ুন

বন্যার্তদের জন্য আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনে অনুদান পাঠানোর সময় বেড়েছে
মির্জাগঞ্জে উপজেলা বিএনপির উদ্যোগে শহীদদের স্মরণে মিলাদ ও দোয়া অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত।
অনেক দাবির চাপে অন্তর্বর্তী সরকার;যৌক্তিক দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস
কোন দিকে যাচ্ছে এই বন্যা পরিস্থিতি, এর জন্য দায়ী কে?
সাত ব্যাংকেই ৩৬ হাজার কোটি টাকার ঋণ সালমান এফ রহমানের
ছাত্র-জনতার দখলে ধানমন্ডি ৩২ নম্বর

আরও খবর