Header Border

ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২৮শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ (হেমন্তকাল) ১৯.৬৫°সে

বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস আজ

সময় সংবাদ লাইভ রির্পোটঃ আজ সোমবার (৩ মে) বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস। ‘তথ্য জনগণের পণ্য’—এই স্লোগানে এ বছর দিবসটি পালন করা হচ্ছে। এছাড়া প্রতি বছর ৩ মে বিশ্বজুড়ে এ দিবসটি পালিত হয়ে থাকে।

১৯৯১ সালে ইউনেস্কোর ২৬তম সাধারণ অধিবেশনের সুপারিশ মোতাবেক ১৯৯৩ সালে জাতিসংঘের সাধারণ সভায় (৩ মে) তারিখটিকে ‘ওয়ার্ল্ড প্রেস ফ্রিডম ডে’ অথবা বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবসের স্বীকৃতি দেয়া হয়।
সাংবাদিকতার স্বাধীনতা ও মুক্ত গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠার মৌলিক নীতিমালা অনুসরণ, বিশ্বব্যাপী গণমাধ্যমের স্বাধীনতার মূল্যায়ন, স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ প্রতিহত করার শপথ গ্রহণ এবং পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে ক্ষতিগ্রস্ত ও জীবনদানকারী সাংবাদিকদের স্মরণ ও তাদের স্মৃতির প্রতি সম্মান ও শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করা হয় এই দিবসটিতে।
দিবসটি উপলক্ষে জাতিসংঘের ঢাকা কার্যালয় থেকে রোববার (২ মে) মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেসের একটি বার্তা প্রচার করা হয়।
জাতিসংঘ মহাসচিব ‘উইন্ডহোক ঘোষণার ৩০ বছর’ শীর্ষক বাণীতে গণমাধ্যম বিষয়ে বলেন, কোভিড-১৯ মহামারির সময় আমরা বিশ্বব্যাপী যে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করেছি—সেগুলো জীবন বাঁচাতে, শক্তিশালী, স্থিতিশীল সমাজ গঠনে নির্ভরযোগ্য, যাচাই করা এবং সর্বজনীন ভূমিকাকে চিহ্নিত করে।
মহামারি এবং জলবায়ুর জরুরি অবস্থাসহ অন্যান্য সংকটময় সময়ে সাংবাদিক এবং গণমাধ্যমকর্মীরা ক্ষতিকর ভুল এবং মিথ্যাচারকে মোকাবিলাসহ আমাদের দ্রুত পরিবর্তিত ও প্রায়ই অপ্রতিরোধ্য তথ্যের দৃশ্যপট তুলে ধরতে সহায়তা করে।
তিনি আরও বলেন, সাংবাদিকতা হলো একটি গণসম্পদ। মহামারির অর্থনৈতিক প্রভাব অনেক প্রচার মাধ্যমকে কঠোরভাবে আঘাত করেছে, যা তাদের অস্তিত্বের জন্য হুমকিস্বরূপ। এছাড়া বাজেট সংকটের সঙ্গে সঙ্গে নির্ভরযোগ্য তথ্য পাওয়াও কঠিন হচ্ছে। এ শূন্যস্থান পূরণ করতে গুজব, মিথ্যা এবং চূড়ান্ত বা বিভাজিত মতামত বৃদ্ধি পাচ্ছে। আমি সব সরকারকে তাদের ক্ষমতানুযায়ী একটি মুক্ত, স্বাধীন এবং বহুমুখী প্রচার মাধ্যমকে সমর্থন করার জন্য সবকিছু করার আহ্বান জানাচ্ছি।
জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, ভুল তথ্য এবং অপপ্রচাররোধে মুক্ত এবং স্বাধীন সাংবাদিকতা আমাদের সবচেয়ে বড় শক্তি। জাতিসংঘ সাংবাদিক নিরাপত্তা বিষয়ক কর্মপরিকল্পনার লক্ষ্য হচ্ছে, বিশ্বজুড়ে গণমাধ্যমকর্মীদের জন্য একটি নিরাপদ পরিবেশ তৈরি করা। কারণ তথ্য হচ্ছে একটি গণসম্পদ। আজ আমরা একটি মুক্ত, স্বাধীন এবং বহুত্ববাদী আফ্রিকান সংবাদমাধ্যম উন্নয়নের জন্য উইন্ডহোক ঘোষণাপত্রের ৩০তম বার্ষিকী উদযাপন করছি।
দিবসটি উপলক্ষে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) এক বিবৃতিতে বলেছে, কোভিড-১৯ অতিমারিকালে গণমাধ্যম ও সাংবাদিকদের পেশাগত ও অর্থনৈতিক ঝুঁকি আরও প্রকট হয়েছে। বহু গণমাধ্যম বন্ধ হয়ে যাওয়ার পাশাপাশি অসংখ্য সাংবাদিক চাকুরিচ্যুত কিংবা পেশা পরিবর্তনে বাধ্য হয়েছেন। তাই মুক্ত গণমাধ্যম এবং তথ্যের অবাধ প্রবাহের সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা ও আন্তর্জাতিক প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়নে অবিলম্বে স্বাধীন ও পেশাদার গণমাধ্যমের অনুকূল পরিবেশ নিশ্চিতের আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি।
দিবসটি উপলক্ষ্যে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, সংবিধানের ৩৯ অনুচ্ছেদে চিন্তা ও বিবেকের স্বাধীনতার নিশ্চয়তা প্রদানের পাশাপাশি প্রত্যেক নাগরিকের বাক ও ভাব প্রকাশের স্বাধীনতা এবং সংবাদপত্রের স্বাধীনতার নিশ্চয়তা প্রদান করা হয়েছে। কিন্তু প্রকাশ্য ও প্রচ্ছন্ন নানামুখী চাপ ও বিধিনিষেধের বেড়াজালে সাংবিধানিক এই অধিকার মলাটবদ্ধ নথিতে রূপান্তরিত হয়েছে।
এদিকে, বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশে সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হবে। সোমবার দুপুর ৩টায় মানবাধিকার সংগঠন ‘নাগরিকের’ আয়োজনে কোভিড অতিমারি, সংবাদপত্র ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা শীর্ষক এক সেমিনার অনুষ্ঠিত হবে। এতে আলোচনায় অংশ নেবেন ভুক্তভোগী সাংবাদিক, শিল্পী, শিক্ষক ও ক্রিয়াশীলরা।
৩ মে বিশ্বব্যাপী সংবাদপত্রের স্বাধীনতা মূল্যায়ন করতে, গণমাধ্যমের স্বাধীনতার ওপর হস্তক্ষেপ থেকে সুরক্ষা পেতে এবং সাংবাদিকতা পেশার দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে প্রাণ হারানো সাংবাদিকদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস উদযাপন করবে সংস্থাটি।
সময় সংবাদ লাইভ। 

আপনার মতামত লিখুন :

আরও পড়ুন

অন্তর্বর্তী সরকারকে আরও সময় দিতে চায় বিশ্ব সম্প্রদায় !
ফিলিস্তিনকে সমর্থন ও ইসরাইলকে বয়কটের আহ্বান এরদোগানের
কোন দিকে যাচ্ছে এই বন্যা পরিস্থিতি, এর জন্য দায়ী কে?
ড. ইউনূসকে অভিনন্দন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর
হজে গিয়ে ১০ বাংলাদেশির মৃত্যু
ইসরাইলের সামরিক ঘাঁটিতে ভয়াবহ ড্রোন হামলা হিজবুল্লাহর

আরও খবর