আলমগীর পারভেজ: লকডাউনের মধ্যে সরকার বাজার ঠিক রাখতে চালু রাখে সব ধরনের পণ্য পরিবহন। তারপরেও বেড়েছে পণ্যমূল্য। যার প্রভাবে বেড়েছে সাধারণ মূল্যস্ফীতি। গত জুন মাসে সাধারণ মূল্যস্ফীতির হার বেড়ে দাঁড়ায় ৫ দশমিক ৬৪ শতাংশ। মে মাসে যা ছিল ৫ দশমিক ২৬ শতাংশ।
গতকাল বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) ওয়েবসাইট থেকে জুন মাসের ভোক্তা মূল্য সূচকের (সিপিআই) হালনাগাদ তথ্যে এমনটিই জানা গেছে।
এ বিষয়ে বিবিএস মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, বিধিনিষেধে নিত্যপণ্য এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় পরিবহনে নানা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়েছে। এ কারণে মূল্যস্ফীতির হার ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে সব খাতেই।
পরিসংখ্যান ব্যুরোর প্রতিবেদনে বলা হয়, অস্বাভাবিক হারে মূল্যস্ফীতি বেড়েছে খাদ্যপণ্যে। জুন মাসে খাদ্যপণ্যে মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ৪৫ শতাংশ। মে মাসে যা ছিল ৪ দশমিক ৮৭ শতাংশ। হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী- জুন মাসে মাছ, মাংস, ব্রয়লার মুরগি, শাক-সবজি, ফল, মসলা, দুগ্ধজাত ও অন্যান্য খাদ্যসামগ্রীতে মূল্যস্ফীতির হার ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে।
বিবিএসের মূল্যস্ফীতির হার পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, জুন মাসে খাদ্য বহির্ভূত পণ্যে মূল্যস্ফীতির হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ৯৪ শতাংশ। মে মাসে যা ছিল ৫ দশমিক ৮৬ শতাংশ। প্রসাধন সামগ্রী, জুতা, পরিধেয় বস্ত্র, বাড়ি ভাড়া, আসবাবপত্র, গৃহস্থালি পণ্য, চিকিৎসা সেবা, পরিবহন, শিক্ষা উপকরণ এবং বিবিধ সেবা খাতে মূল্যস্ফীতির হার ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে।
অব্যাহত লকডাউনের কারণে সারাদেশে পণ্যের দাম বেড়েছে চলছে। সরকার টিসিবির মাধ্যমে সারাদেশ বেশ কয়েকটি পণ্য বিক্রি করলেও বাজারে তার কোন ইতিবাচক প্রভাব দেখা যায়নি। উল্টো দাম আরও বেড়েছে। এতে করে টিসিবির ট্রাকে দরিদ্র মানুষের কাতারে এসে দাড়িয়েছে মধ্য আয়ের মানুষরা।
ফলে ট্রাকের লাইন আরও দীর্ঘ হচ্ছে।দ্রব্য মূল্য সরকার নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে মানুষ ক্রয় ক্ষমতা হারিয়ে আরও দরিদ্র হবে।মহামারী করোনায় দরিদ্র বেড়েছে তার প্রমান টিসিবির ট্রাকের দীর্ঘ লাইন। নতুন করে ২ কোটি ৪৫ লাখ মানুষ দরিদ্র হলেও সরকার তার স্বীকার করছে না। মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধি প্রমাণ করে সাধারণ মানুষ ক্রয় ক্ষমতা হারিয়েছে। তবে বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকার নানা উদ্যেগ নিলেও তাতে তেমন কোন কাজে আসেনি। ফলে দরিদ্র মানুষ আরও দরিদ্র হয়েছে। চাকুরী হারিয়ে মানুষ বেকার হয়েছে। শহর ছেড়ে মানুষ গ্রামে আশ্রয় নিয়েছে।