সময় সংবাদ লাইভ রিপোর্টঃ স্ত্রীর বয়স ১৩ বছরের নিচে নাহলে বৈবাহিক বন্ধনে শারীরিক সম্পর্কে তা ধর্ষণ হবে না—দণ্ডবিধির ৩৭৫ ধারার এমন ব্যতিক্রমটি বাতিলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল দিয়েছেন হাইকোর্ট।
ব্যতিক্রমটি বৈষম্যমূলক উল্লেখ করে এর বৈধতা নিয়ে করা এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মহি উদ্দিন শামীমের ভার্চ্যুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ ওই রুল দেন।
১৮৬০ সালের দণ্ডবিধির ৩৭৫ ধারার ব্যতিক্রমীসহ বৈবাহিক ধর্ষণ–সম্পর্কিত বিধানের বৈধতা নিয়ে ১ নভেম্বর চারটি সংগঠন ওই রিট করে। সংগঠনগুলো হচ্ছে বাংলাদেশ লিগ্যালএইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট (ব্লাস্ট), ব্র্যাক, নারীপক্ষ এবং মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী সারা হোসেন। রিটের পক্ষে আইনজীবী জেড আই খান পান্না ও শারমিন আকতার শুনানিতে ছিলেন। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নওরোজ মো. রাসেল চৌধুরী।
পরে আইনজীবী শারমিন আকতার প্রথম আলোকে বলেন, দণ্ডবিধির ৩৭৫ ধারার ব্যতিক্রম অনুসারে স্ত্রীর বয়স ১৩ বছরের নিচে নাহলে ধর্ষণ হবে না। ৩৭৬ ধারায় আছে, স্ত্রীর বয়স ১২ বছরের নিচে নাহলে ধর্ষণ হবে না। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ৯(১) ব্যাখ্যা অনুসারে, ‘বিবাহবন্ধন ব্যতীত’ ১৬ বছর বেশি বয়সের কথা। অথচ সংবিধানে আছে সমতার কথা। বিধানগুলো বৈষম্যমূলক। বৈবাহিক ধর্ষণ–সংক্রান্ত ব্যতিক্রম বিষয়ে ভারত, পাকিস্তান ও নেপাল এরই মধ্যে পরিবর্তন এনেছে।