সময় সংবাদ লাইভ রিপোর্ট : ভরা মৌসুমেও বাড়ছে চালের দাম। খোদ জাতীয় ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তর গত ২২, ২৩ ও ২৪ জুন রাজধানীর বাজার মনিটরিং করেছে। তাদের বাজার তদারকিতেই উঠে এসেছে সম্প্রতি প্রতিকেজি চালের মূল্য ২ থেকে ৫ টাকা বেড়েছে। এ ক্ষেত্রে চালের মূল্য বৃদ্ধি চার কারণে হয়েছে বলে প্রতিবেদনে উঠে এসেছে। বাজার স্থিতিশীল করতে মিলমালিকদের সঙ্গে আলোচনা করে খাদ্য মন্ত্রণালয়কে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করে বাণিজ্য সচিবের কাছে প্রতিবেদন পাঠিয়েছেন জাতীয় ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বাবলু কুমার সাহা। খবর বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রের।
প্রতিবেদনে বলা হয়, চার কারণে চালের মূল্য বেড়েছে। এর মধ্যে রয়েছে করোনাকালীন গরিব ও দুস্থদের মধ্যে বিতরণের লক্ষ্যে বিভিন্ন ব্যক্তি এবং প্রতিষ্ঠান বাজার থেকে ব্যাপক পরিমাণে চাল কেনায় বাজারে চাহিদা বেড়েছে। ফলে বেড়েছে দাম। করোনার প্রভাবে পরিবহন ব্যয় বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে বর্ধিত ব্যয় চালের সঙ্গে যুক্ত হওয়ায় খুচরা বাজারে প্রভাব পড়তে পারে। মিলমালিকরা ভবিষ্যতে মুনাফার আশায় ব্যাপক হারে ধান সংগ্রহ করেছে। এ অবস্থায় ধানের দাম কিছুটা বেড়েছে। ফলে চালের মূল্যের ওপর প্রভাব পড়েছে। এ ছাড়া পাইকারি ব্যবসায়ীদের মতে, মিলমালিকরা চালের দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন।
ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তরের প্রতিবেদনে চালের বাজার স্থিতিশীল করতে মিলমালিকদের সঙ্গে আলোচনার লক্ষ্যে খাদ্য মন্ত্রণালয়কে উদ্যোগ গ্রহণ করতে বলা হয়েছে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, চালের মূল্য বৃদ্ধির কারণ খুঁজে বের করতে গত ২১ জুন করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলা সংক্রান্ত টাক্সফোর্স কমিঠির বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়। সিদ্ধান্ত অনুসারে ২২ থেকে ২৪ জুন রাজধানীর বাজারগুলোয় অভিযান চালিয়ে চারটি কারণ বের করে জাতীয় ভোক্তা সংরক্ষণ
অধিদপ্তর। ২৫ জুন বাণিজ্য সচিবের কাছে প্রতিবেদন দাখিল করে।