*সময় সংবাদ লাইভ রিপোর্টঃ সামাজিক সংক্রমণ হয়েছে ভারতীয় তথা ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের।সীমান্তবর্তী জেলা ছাড়িয়ে করোনা রোগী বাড়ছে পাশের জেলাগুলোতেও। গত সপ্তাহের তুলনায় চলতি সপ্তাহে সংক্রমণের হার বেড়েছে ২৭ শতাংশেরও বেশি।
স্বাস্থ্য অদিধফতর জানিয়েছে চলতি সপ্তাহে রোগী শনাক্ত হয়েছে ১৫ হাজার ১৭২ জন। গত সপ্তাহে শনাক্ত হয়েছিলেন ১১ হাজার ৯২৮ জন। আগের সপ্তাহের চেয়ে বেড়েছে ২৭ দশমিক ২০ শতাংশ।
দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর হারও বেড়েছে। অধিদফতর জানায়, চলতি সপ্তাহে করোনায় মারা গেছেন ২৭৯ জন। গত সপ্তাহে মারা গিয়েছিলেন ২৫২ জন।
স্বাস্থ্য অধিদফতর জানাচ্ছে, সংক্রমণের হার বাড়ায় গতমাসের মতো স্বস্তিতে যাবে না চলতি জুন। এর বড় কারণ সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতে সংক্রমণের হার। এর মাঝে সরকারঘোষিত বিধিনিষেধে শিথিলতা এলে পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে যাবে।
রোগী সংক্রমণের এই ঊর্ধ্বগতিতে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনা সংক্রমণের শুরু থেকেই ঢাকায় রোগীর চাপ বেশি ছিল। কারণ ঢাকার বাইরে আইসিইউ ও অন্যান্য চিকিৎসা ব্যবস্থার প্রতি রোগীরা সন্তুষ্ট নন। অনেক জায়গায় এখনও আইসিইউ নেই, সেন্ট্রাল অক্সিজেন লাইনও নেই।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের তথ্যমতে, দেশে করোনা রোগীদের জন্য জেনারেল বেড রয়েছে ১১ হাজার ৯৭২টি। এখন রোগী ভর্তি আছেন তিন হাজার ৯৯ জন। বেড ফাঁকা রয়েছে আট হাজার ৮৭৩টি। আইসিউ রয়েছে এক হাজার ১৩৫টি। তাতে ভর্তি আছেন ৩৭০ জন।
সারা দেশে অক্সিজেন সিলিন্ডার রয়েছে ২৩ হাজার ৩৬৪টি। হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানুলা রয়েছে এক হাজার ৬০২টি আর অক্সিজেন কনসেনট্রেটর রয়েছে এক হাজার ৬১৯টি।
গত মার্চে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হলে বন্ধ হয়ে যাওয়া হাসপাতালগুলোর কার্যক্রম শুরুর নির্দেশ দেয় স্বাস্থ্য অধিদফতর। কিন্তু সেসময় রোগীরা আইসিইউ পায়নি, পায়নি সাধারণ বেডও। আইসিইউর অভাবে অ্যাম্বুলেন্সে ঘুরতে ঘুরতেই মারা গিয়েছিলেন অনেকে।
এবার সংক্রমণের চাপ বাড়লে তাৎক্ষণিকভাবে চিকিৎসা ব্যবস্থার প্রতি নজর দিতে বলছেন বিশেষজ্ঞরা। কোভিড-১৯ বিষয়ক জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটিও বলছে, দেশে করোনাভাইরাসের বড় আকারে সংক্রমণ হলে চিকিৎসা ব্যবস্থা বিরাট চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে। যেমনটি দেখা গেছে পাশের দেশ ভারতে। কমিটি বলছে, ভারত এখনও এই চ্যালেঞ্জের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে।