আলমগীর পারভেজ: যথেষ্ট উচ্চতা অনুযায়ী নির্মাণ না করায় বর্ষার সময় ব্রিজের নীচ দিয়ে কার্গো চলাচল করতে না পারার কারণে ভাঙতে হবে ঢাকার মোহাম্মদপুরে বুড়িগঙ্গা নদীর ওপর নির্মিত শহীদ বুদ্ধিজীবী (বসিলা ব্রিজ) সেতুসহ ৮০৫টি ব্রিজ।
বুধবার(২৮ জুলাই) জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহি কমিটি (একনেক) প্রায় ২ হাজার ৫৭৫ কোটি ৪২ লাখ টাকা ব্যয় সম্বলিত ১০টি প্রকল্প অনুমোদন করেছে।
এর মধ্যে সরকারি অর্থায়ন ২ হাজার ১৫০ কোটি ৪২ লাখ টাকা এবং বৈদেশিক ঋণ ৪২৫ কোটি টাকা। প্রধানমন্ত্রী এবং একনেক-এর চেয়ারপারসন শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে গণভবনের সঙ্গে সংযুক্ত হয়ে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে শেরে বাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত একনেক-এর সভায় এ অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
৪৯৮ কোটি ৩০ লাখ টাকা ব্যয়ে দেশের দক্ষিণাঞ্চলে আয়রন ব্রিজ পুনঃনির্মাণ-পুনর্বাসন (১ম সংশোধিত) প্রকল্পটি অনুমোদন দেওয়া হয়।
প্রকল্পটি প্রসঙ্গে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম বলেন,প্রতিটা ব্রিজ পরিকল্পনা মাফিক নির্মাণ করতে হবে। ব্রিজ নির্মাণের সময় উচ্চতা ঠিক রাখতে হবে যেন ব্রিজের নিচ দিয়ে কার্গো চলাচল করতে পারে। নুতন প্রকল্পের আওতায় ৮০৫টি ব্রিজ ভাঙতে হবে। ব্রিজ নির্মাণ করতে গিয়ে উচ্চতা ঠিক রাখতে হবে। যেমন বছিলা ব্রিজ ভাঙার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। বর্ষার কারণে কার্গো জাহাজগুলো ব্রিজের নিচে দিয়ে যেতে পারে না। ব্রিজটি আরো উঁচু করতে হবে।
বেড়িবাঁধ চৌরাস্তা থেকে শহীদ বুদ্ধিজীবী সেতু পর্যন্ত বুড়িগঙ্গাপাড়ের এলাকাটি বছিলা নামে পরিচিত। এই সেতুকে বছিলা ব্রিজ বা তৃতীয় বুড়িগঙ্গা সেতু নামেও ডাকা হয়। যা মোহাম্মদপুরের সঙ্গে কেরানীগঞ্জকে যুক্ত করেছে।
বছিলা ব্রিজ ভাঙা প্রসঙ্গে সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী আবদুস সবুর বাংলানিউজকে বলেন, বছিলা ব্রিজ ভাঙার বিষয়ে এখনো আমাদের কাছে কোনো নির্দেশনা আসেনি। তবে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে বিস্তারিত জানতে পারবো।
২০০৯ সালের ২৯ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেতুটি উদ্বোধন করেন। বছিলা এলাকাটি ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্ভুক্ত। প্রায় ৮৪ কোটি ৯ লাখ টাকা ব্যয়ে ৭০৮ মিটার দৈর্ঘ্যের শহীদ বুদ্ধিজীবী সেতুটি নির্মাণ করা হয়।