সময় সংবাদ রিপোর্ট:একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে গতকাল রবিবার। নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও নিজের ভোট দিতে কেন্দ্রেই যাননি বিএনপির অনেক প্রার্থী। তাদের অভিযোগ, ভোটকেন্দ্রে যেতে বাধা এবং আগের রাতেই ভোট দিয়ে দিয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা। ফলে কেন্দ্রে যাওয়ার কোনো যৌক্তিকতা নেই। ভোট না দেওয়া উল্লেখযোগ্য হেভিওয়েট প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন চট্টগ্রাম-১০ (হালিশহর-পাহাড়তলী) আসনে আবদুল্লাহ আল নোমান, চট্টগ্রাম-১১ (বন্দর-পতেঙ্গা) আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, চট্টগ্রাম-৮ (চান্দগাঁও-বোয়ালখালী) আসনে আবু সুফিয়ান, চট্টগ্রাম-৫ (হাটহাজারী) আসনে মেজর জেনারেল (অব) সৈয়দ মোহাম্মদ ইব্রাহিম, চট্টগ্রাম-১ (মিরসরাই) আসনে নুরুল আমিন চেয়ারম্যান।
আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী নিজ বাড়ির আঙিনায় বসে বিভিন্ন এলাকার খোঁজখবর নেওয়ার পাশাপাশি নেতাকর্মীদের সঙ্গে গল্পগুজবে সময় কাটিয়েছেন। ভোট দেওয়ার পরিবেশ না থাকায় কেন্দ্রে যাননি বলে জানিয়েছেন আবদুল্লাহ আল নোমান। আবু সুফিয়ান বলেন, ভোট দেওয়ার জন্য বের হলেও বাধা পেয়ে বাসায় ফিরে গেছেন।
আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ভোট তো রাতেই হয়ে গেছে, এখন গিয়ে কী করব। আমাদের সব এজেন্টকে বের করে দিয়েছে। গতকাল রাতেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পুলিশ নিয়ে ছাত্রলীগের কর্মীরা ভোটকেন্দ্রে না যাওয়ার জন্য হুমকি দিয়ে এসেছেন।
ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য বাংলাদেশে ভোটের এমন চিত্র জনগণ অতীতে কখনো দেখেনি মন্তব্য করে তিনি বলেন, আমার ভোট দিয়ে লাভ কী! যেখানে জনগণ ভোট দিতে পারছে না, সেখানে আমার ভোটে কী হবে? গ্রেপ্তার করা, জেলে নেওয়া, মারধর করা, গুলি করা-নির্বাচনের নামে এই প্রহসনের দরকার কী ছিল? ক্ষমতাসীনারা দেশটাকে নষ্ট করেছে, এখন সমাজের সহাবস্থানটাকেও নষ্ট করছে।
আবু সুফিয়ান নগরীর চান্দগাঁও থানার সিডিএ গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রের ভোটার। তার দাবি, সকাল থেকে ভোটকেন্দ্র অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে। ধানের শীষ প্রতীকের ৮ জন এজেন্টকে কেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে।