সময় সংবাদ রিপোর্ট:বাংলাদেশ সংবাদপত্র পরিষদ বিএসপির সাবেক সভাপতি, দৈনিক ইত্তেফাক সম্পাদকমণ্ডলীর সাবেক সভাপতি, নিউ নেশন সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনকে অবিলম্বে মুক্তি দিয়ে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ দানের আহ্বান জানিয়ে ওয়ার্ল্ড অ্যাসোসিয়েশন অব প্রেস কাউন্সিলস নির্বাহী পরিষদ ও বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের সাবেক সদস্য, বিএসপির সাবেক সহসভাপতি, মুক্তিযোদ্ধা-সাংবাদিক মইনুদ্দীন কাদেরী শওকত এক বিবৃতি দেন।
বিবৃতিতে বলা হয়, ব্যারিস্টার মইনুল যাকে চরিত্রহীন বলা যায় বলেছেন, তার কাছে ক্ষমা ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন। এরপর বিষয়টি নিষ্পত্তি হয়ে যায়। কিন্তু দেশের বিভিন্ন স্থানে মামলা দিয়ে তাকে হয়রানি এবং জামিনে থাকা অবস্থায় গ্রেফতার করে জেলে পাঠানো উদ্বেগজনক। রংপুরে যিনি মামলা দিয়েছেন তিনি সরাসরি সংক্ষুব্ধ নন। এ ধরনের মামলা আমলযোগ্য নয়Ñ আমলে নিলেও জামিনযোগ্য। ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন ১৯৭৩ সালে বঙ্গবন্ধু ও আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে নৌকা প্রতীক নিয়ে জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। ১৯৭৫ সালে ২৫ জানুয়ারি সংবিধানের চতুর্থ সংশোধনীর প্রতিবাদে তিনি ও স্বাধীনতা যুদ্ধের সর্বাধিনায়ক জেনারেল ওসমানী সংসদ থেকে পদত্যাগ করেন।
বিবৃতিতে বলা হয়, মানুষের বিবেকে পচন ধরলে চক্ষু লজ্জাও উঠে যায়, যার ফলে আদালত অঙ্গনেও নির্লজ্জ্য ঘৃণ্য আচরণ। মইনুল হোসেনের মতো যারা ন্যায়-নীতি, আইন-সংবিধান মানার কথা বলেন, তাদেরকে এভাবে অপমান, হয়রানি জাতির জন্য অশনি সঙ্কেত। সত্য কথা প্রচার ও বলার সৎ সাহস প্রদর্শন থেকে যারা বিরত থাকে, ন্যায় ও সুবিচার প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে যারা মৌনতা অবলম্বন করে, অন্যায়-অত্যাচার, অবিচারের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে পারে না এবং সমাজে অনাচার-অবিচার দেখেও যারা নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করে তারা দুর্বল বিশ্বাসী।
প্রসঙ্গত বলতে হয়, অংশগ্রহণমূলক ও গ্রহণযোগ্য একটি জাতীয় নির্বাচনের মাধ্যমে দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন চোখে নিয়ে যারা জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠন করেছেন, তাদের মধ্যে অন্যতম রূপকার ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন। দুর্ভাগ্য যে, জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের পক্ষ থেকে ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনকে মুক্তির জন্য বলিষ্ঠ কোনো পদক্ষেপ নজরে আসেনি।
বিবৃতিতে অবিলম্বে ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনকে মুক্তি দানের জন্য আহ্বান জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তি।