সময় সংবাদ রিপোর্ট : মশা মারতে এবার নতুন ফাঁদ ঢাকা উত্তর সিটি কপোরেশনের (ডিএনসিসি)। ফ্রান্স থেকে আমদানি করা এই মসকিউটো ট্র্যাপের একটি মেশিন আশপাশের ৮০ মিটারের মধ্যে ৮৮ থেকে ৯০ শতাংশ মশা মারতে পারে। আপাতত উত্তরার একটি পার্কে পাঁচটি মেশিন বসিয়ে চলছে পরীক্ষামূলক কার্যক্রম। সফল হলে বড় পরিসরে ব্যবহারের পরিকল্পনা থাকলেও এর খরচ নিয়ে ভাবছে উত্তর সিটি।‘মসকিউটো ট্র্যাপ’ বাংলাদেশের জন্য বিষয়টি নতুন হলেও ফ্রান্সের তৈরি মশা মারার এ মেশিন বিশ্বের ২৬ দেশে ব্যবহার হচ্ছে। এটি মূলত একটি ফাঁদ। সাধারণত মানুষের শরীরের গন্ধই মশাকে কাছে টেনে আনে সেক্ষেত্রে এই তত্ত্ব কাজে লাগিয়ে এ বাক্সের মধ্যে একটি সিলিন্ডারে থাকে কার্বন ডাই অক্সাইড আর কৃত্রিম ঘামের গন্ধ তৈরি করা হয়। আর এতেই আকৃষ্ট হয় মশা।
চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে রাজধানীর ঢাকা উত্তরার চার নম্বর সেক্টরের এ পার্কেই বসানো হয়েছে মশা মারার নতুন ফাঁদ। পরীক্ষামূলক এ কার্যক্রমে মিলেছে কিছুটা স্বস্তির দেখা।স্থানীয়রা জানান, আগে পার্কে সন্ধ্যার অনেক মশা ছিল। এ মেশিন লাগানোর পর অনেকটা কমেছে।আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান বলছে, এর একটি মেশিন ৮০ মিটার পর্যন্ত এলাকার মশা আকৃষ্ট করে। যা সেই এলাকায় থাকা নব্বই ভাগ পর্যন্ত মশা মারতে পারে। ভিন্ন সাইজের এ ফাঁদ ঘরে-বাইরে সবখানেই ব্যবহার করা যায়।তারা আরও জানান, একটি মেশিনের দাম ছয় থেকে আট লাখ টাকা আর প্রতি মাসে রক্ষণাবেক্ষণ খরচ প্রায় ছয় হাজার। তাইতো এখন পরীক্ষামূলক এ কার্যক্রমের ফলাফলের দিকে তাকিয়ে সিটি করপোরেশন। ফলাফল অনুকূলে আসলে দাম নিয়ে দর কষাকষি করেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত।উত্তর সিটি করপোরেশনের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা বলেন, যেভাবে মশা আমাদের দিকে আকৃষ্ট হয়। ও রকম একটা আর্টিফিশিয়ালি সিন্যারিও তৈরি করে। কিন্তু প্র্যাকটিক্যালি কতটুকু করে সেটার ওপর নির্ভর করছে, আমরা এটা ব্যবহার করব কি না।
ঠিকঠাক কাজ করলে কিউলেক্সের পাশাপাশি এডিস নিধনেও বড় ভূমিকা রাখবে এ মসকিউটো ট্রাপ।