সময় সংবাদ রিপোর্টঃ কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের আটটি দানবাক্সে ১২ বস্তা টাকা ছাড়াও স্বর্ণালঙ্কার পাওয়া গেছে। আজ শনিবার সকাল ৯টার দিকে জেলা প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও মসজিদ কমিটির উপস্থিতিতে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্যে এই বাক্সগুলো খোলা হয়। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক গোলাম মোস্তফা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, পাগলা মসজিদে দান করলে মনের আশা পূরণ হয়, এমন বিশ্বাসে মুসলমান ছাড়াও অন্যান্য ধর্মের লোকজন এখানে দান করে থাকেন। নগদ ১২ বস্তা টাকা ছাড়াও পাওয়া গেছে চাল, ডাল গাবাদিপশু আর হাঁস-মুরগি। এসব পণ্য নিলামে বিক্রি করে জমা করা হবে মসজিদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে। পরবর্তী সময়ে মসজিদের আয় থেকে নিজস্ব খরচ মিটিয়েও জেলার বিভিন্ন মসজিদ ও মাদ্রাসা, এতিমখানাসহ গরিব ছাত্রদের মাঝে ব্যয় করা হয় বলে জানান প্রশাসক গোলাম মোস্তফা।জানা গেছে, আটটি সিন্দুক থেকে প্রায় ১২ বস্তা টাকা পাওয়া গেছে। এখন চলছে টাকা গণনার কাজ। বস্তাগুলো থেকে টাকা ঢেলে মসজিদের দোতলায় চলছে গণনার কাজ। পাগলা মসজিদ ইসলামী কমপ্লেক্সের দেড় শতাধিক শিক্ষার্থী ও স্থানীয় একটি ব্যাংকের কর্মকর্তারা টাকা গণনা করছেন।সারা দিন গণনা শেষে বিকেল নাগাদ টাকার পরিমাণ জানা যাবে বলে জানিয়েছেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক গোলাম মোস্তফা।প্রসঙ্গত, ৫০ বছর আগে পাগলবেশী এক সাধু পুরুষ নরসুন্দা নদীর মাঝখানে পানিতে মাদুর পেতে আশ্রয় নেন। তার মৃত্যুর পর সমাধির পাশে এই মসজিদটি গড়ে ওঠে। পরে পাগলা মসজিদ নামে পরিচিতি পায় মসজিদটি।