সময় সংবাদ রিপোর্টঃ ঢাকাই সিনেমার আলোচিত ও সমালোচিত নায়িকা শামসুন্নাহার স্মৃতি ওরফে পরীমনির মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় আজ মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে হাজির হয়েছেন। এদিন সকাল পৌনে ১০ টার দিকে তিনি আদালতে হাজির হয়েছেন।মামলাটিতে আজ চার্জশিট আমলে গ্রহণের শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে। তবে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কেএম ইমরুল কায়েশ না থাকা সে শুনানি এদিন হবে না বলে জানা গেছে।এদিকে পরীমনির আইনজীবী নীলাঞ্জনা রিফাত সুরভী আসামি পরীমনির জামিন আবেদন করেছেন। যার উপর আজ ভারপ্রাপ্ত আদালতে শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।এর আগে গত ১৩ অক্টোবর ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কেএম ইমরুল কায়েশ মামলার চার্জশিট পাওয়ার পর পরীমনির হাজিরা এবং চার্জশিট আমলে গ্রহণের শুনানির জন্য ২৬ অক্টোবর দিন ঠিক করেন।এর আগে পরীমনিসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে গত ৪ অক্টোবর ঢাকা সিএমএম আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডি পুলিশের পরিদর্শক কাজী গোলাম মোস্তফা।
এরও আগে গত ৪ আগস্ট বিকেল ৪টার পর পর বনানীর ১২ নম্বর রোডের পরীমনির বাসায় অভিযান পরিচালনা করে র্যাব। ওই সময় বাসা থেকে ১৯টি বোতলে ১৮.৫ লিটার বিদেশি মদ, চার গ্রাম আইস, এক স্লট এলএসডি নামক মাদক জব্দ করা হয়। ওই ঘটনায় র্যাব-১-এর কর্মকর্তা মো.মজিবর রহমান মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা করেন।মামলার চার্জশিটে বলা হয়, চিত্রনায়িকা পরীমনির বাসা থেকে জব্দ হওয়া মাদকদ্রব্যের বৈধ কোনো কাগজপত্র ছিল না। তদন্তকালে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর লিখিতভাবে জানিয়েছে, ২০১৯-২০ অর্থবছরে পরীমনির নামীয় মদজাতীয় পানীয় সেবনের লাইসেন্স দেওয়া হয়। যা ২০২০ সালের ৩০ জুন মেয়াদ শেষ হয়েছে।অবৈধ মাদকদ্রব্য সংগ্রহের বিষয়ে বলা হয়, পরীমনি বিভিন্ন স্থান থেকে জব্দকৃত মাদকদ্রব্য মামলার দুই আসামি আশরাফুল ইসলাম ও কবির হোসেনের মাধ্যমে সংগ্রহ করে বাসায় রেখেছিলেন। মাদকদ্রব্য রাখার বিষয়ে তিনি কোনো সন্তোষজনক জবাব দিতে পারেননি। এছাড়া জব্দকৃত গাড়ি পরীমনি মাদকদ্রব্য বহনের কাজে ব্যবহার করতেন। যা তিনি ব্যাংক থেকে ৩০ লাখ টাকা ঋণ নিয়ে কিনেছিলেন।
উল্লেখ্য, পরীমনি গত ৪ আগস্ট গ্রেপ্তার হওয়ার পর গত ৫ আগস্ট চার দিনের ও গত ১০ আগস্ট দ্বিতীয় দফায় দুই দিনের রিমান্ড পাঠান আদালত। ওই রিমান্ড শেষে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। পরবর্তীতে মামলায় তৃতীয়দফা গত ১৯ আগস্ট ১ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। ওই রিমান্ড শেষে গত ২১ আগস্ট পরীমনিকে কারাগারে পাঠানো হয়। এরপর গত ৩১ আগস্ট ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কেএম ইমরুল কায়েশ কারাগারে থাকা পরীমনিকে অসুস্থ, নারী, অভিনেত্রী, মাদকের পরিমান বিবেচনায় পুলিশ প্রতিবেদন দাখিল না হওয়া পর্যন্ত ৫০ হাজার টাকা মুচলেকায় জামিন প্রদান। এরপর গত ১ সেপ্টেম্বর তিনি কারামুক্ত হন।
m/p…..