*সময় সংবাদ লাইভ রির্পোটঃ থানার ওসি চাইলেই হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালা হতে পারেন- এমন মন্তব্য করে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ বলেছেন, মানুষের জন্য কাজ করে তাদের হৃদয় ও মন জয় করা যায়। এটা টাকা দিয়ে কেনা যায় না। গতকাল শনিবার ঢাকা রেঞ্জের আগস্ট-২০২১ মাসের মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি হাবিবুর রহমান।
সমাজকে একটি বহতা নদীর সঙ্গে তুলনা করে আইজিপি বলেন, যেহেতু সমাজ পরিবর্তন হয়, ফলে সমাজ পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা ও অপরাধ পরিস্থিতিরও পরিবর্তন হয়। সর্বদা সমাজের পরিবর্তনশীল চাহিদার প্রতি লক্ষ্য রেখে পুলিশিং কার্যক্রম চালু রাখতে তিনি মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন। বিট পুলিশিংকে পুলিশিংয়ের একটি কার্যকর পদ্ধতি হিসেবে আখ্যায়িত করে পুলিশপ্রধান বলেন, বঙ্গবন্ধু প্রতিটি ইউনিয়নে থানা করার যে স্বপ্ন দেখেছিলেন, মূলত বিট পুলিশং সে লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে।
ড. বেনজীর বলেন, প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনী ইশতেহারে ঘোষণা করেছিলেন, প্রতিটি গ্রামে শহরের সুবিধা পৌঁছে দেওয়া হবে। এক্ষেত্রে প্রতিটি ইউনিয়নে অপরাধ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় বিট পুলিশং কার্যকর অবদান রাখতে পারে। জনগণের মধ্যে বিট পুলিশিং কার্যক্রম ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য পুলিশ কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেন তিনি। আইজিপি আবারও দ্ব্যর্থহীন কণ্ঠে ঘোষণা করেন, কোনো পুলিশ সদস্য যদি কোনো ধরনের অপরাধের সঙ্গে জড়িত থাকে, তাহলে তাকে তা বন্ধ করতে হবে। পুলিশে কোনো অপরাধীর জায়গা নেই। আমরা যতই ভালো কাজ করি না কেন, একটি খারাপ কাজ সব অর্জন নষ্ট করে দেয়।
জুনিয়রদের যোগ্য করে গড়ে তোলা সিনিয়রদের দায়িত্ব উল্লেখ করে ড. বেনজীর আহমেদ বলেন, জুনিয়রদের জন্য ভালো উদাহরণ তৈরি করতে হবে। ভালো কাজে তাদের মোটিভেট করতে হবে। তাদের সুপারভাইজ করতে হবে। আইজিপি বলেন, চাকরিতে ‘প্যাশন’ আনতে হবে। প্রত্যেক পুলিশ সদস্যের সম্মান ও মর্যাদাবোধ থাকতে হবে। পেশাদারিত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে হবে।
ঢাকা রেঞ্জের বিভিন্ন ইনোভেশন কার্যক্রমে সন্তোষ প্রকাশ করে পুলিশপ্রধান অন্যান্য ইউনিটেও এ ধরনের ইনোভেশন চর্চার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। সভায় ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি আগস্ট মাসের সার্বিক অপরাধ পরিস্থিতি, অপরাধ ব্যবস্থাপনা, বেস্ট প্র্যাকটিসেস ও ইনোভেশন কার্যক্রম উপস্থাপন করেন। মাদারীপুর জেলা পুলিশ আয়োজিত মাসিক অপরাধ পর্যালোচনার এ সভায় ঢাকা রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজিসহ রেঞ্জের অধীন সব জেলার পুলিশ সুপার ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা অংশ নেন।