সময় সংবাদ রিপোর্ট :দ্বিতীয় দিন শেষে প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ে যারপরনাই হতাশ টাইগারদের ব্যাটিং কোচ জেমি সিডন্স। ক্রিকেটারদের আউট হওয়ার ধরন নিয়েও বিরক্তি প্রকাশ করেন তিনি। তবুও রোববার (১০ এপ্রিল) তৃতীয় দিনে আশা খুঁজছেন ইয়াসির রাব্বি-মুশফিকের ব্যাটে।একটা সম্ভাবনাময় দিনে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত কীভাবে হতাশার ধুলা মাখাতে হয় তার দৃষ্টান্ত পোর্ট এলিজাবেথের দ্বিতীয় দিন। যাচ্ছে তাই বোলিং করে দক্ষিণ আফ্রিকাকে অল্প রানে বেঁধে ফেলা তো সম্ভব হয়ইনি বাংলাদেশের, উল্টো কাণ্ডজ্ঞানহীন ব্যাটিংয়ে উইকেট হারিয়ে ফলোঅনের শঙ্কা।বিশাল লক্ষ্যের পেছনে ছুটতে গিয়ে মাত্র তিন রানেই যখন দলের ভরসা বিদায় নেয় তখন শঙ্কা জাগে অবধারিতভাবেই। যদিও প্রথম টেস্টে ঐতিহাসিক সেঞ্চুরি করার পর দুই ইনিংসে জয়ের টানা ব্যর্থতায় তাকে আদৌ ভরসার প্রতীক বলা চলে কিনা তা তর্ক সাপেক্ষ।অবশ্য ওপেনারের দ্রুত প্রস্থানের পর ভিন্ন বাংলাদেশের ইঙ্গিত তামিম-শান্তর ব্যাটে। সাদা পোশাক গায়ে চাপালেও যেন স্বভাববিরোধী ব্যাটিংয়ের আগুনে নেশা খান সাহেবের উইলোতে। তাতে অনেক সময় রানের বিচ্ছুরণ হলেও এদিন থামতে হয়েছে ৪৭-এ। বাংলাদেশ তখন দুই উইকেটে ৮২।এরপর কী হলো কে জানে। সবার মাঝেই পেয়ে বসে সাজঘরে ফেরার তাড়া। মুলডারকে উইকেট দিয়ে ফেরেন শান্ত। অপরিপক্ব অধিনায়ক মুমিনুলের ব্যাটেও দিশা নেই দলের দুঃসময়ে। ১০০ রানেই চার উইকেট হারিয়ে ফেলা বাংলাদেশ চোখে সর্ষেফুল দেখা শুরু করে ১২২-এ লিটন দাস ফিরে গেলে। তৃতীয় দিনে মুশফিক-রাব্বিদের ব্যাটে কী হয় এখন তারই অপেক্ষা।জেমি সিডন্স বলেন, তামিমের শুরুটা দারুণ ছিল। তবে যদি তার আর শান্তর আউট হওয়ার ধরন আপনি দেখেন, দুজনেই লেগ সাইডে বল হিট করতে গিয়ে ব্যর্থ হয়েছে। এখানে আমাদের অনেক কাজ করা বাকি। ক্রিকেটারদের দ্রুত উন্নতি করা উচিত। তবে এখনও সুযোগ আছে। মুশফিক আর রাব্বিকে ইনিংসকে টেনে নিতে হবে।
ব্যাটিং কোচ বলেন, স্পিনারদের বিপক্ষে আরও আগ্রাসী হওয়া যেতে পারে। আম্পায়ারিং নিয়ে আপনার হতাশা থাকতেই পারে। এই সিরিজে একাধিক বাজে সিদ্ধান্ত ছিল। তবে এটা হতেই পারে। কারণ মাঠে আম্পারিংয়ের কাজটা সহজ নয়। রিভিউ নেওয়ার ক্ষেত্রেও আমাদের আরও বুদ্ধিদীপ্ত হওয়া জরুরি। তৃতীয় দিনের সকালটা ভালো শুরু করতে পারলে চিত্রনাট্য পাল্টে যেতে পারে।পোর্ট এলিজাবেথে দক্ষিণ আফ্রিকার চেয়ে ৩১৪ রানে পিছিয়ে মুমিনুল বাহিনী। দ্বিতীয় দিন শেষে লাল-সবুজের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ১৩৯ রান। এর আগে, লোয়ার মিডল অর্ডারের দৃঢ়তায় প্রথম ইনিংসে ৪৫৩ রান করে প্রোটিয়ারা। তাইজুল ইসলাম শিকার করেন ৬ উইকেট।