সময় সংবাদ রিপোর্ট : যুদ্ধ বন্ধে রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনায় বসতে ইউক্রেনের প্রতিনিধি দল তুরস্কে পৌঁছেছেন। তুর্কি বার্তা সংস্থা আনাদুলুর খবর বলছে, স্থানীয় সময় সোমবার (২৮ মার্চ) দিবাগত রাত ১০টায় তারা ইস্তানবুলে পা রেখেছেন। এর কিছুক্ষণ আগে রাশিয়ার প্রতিনিধিরা তুরস্কে আসেন।তুরস্কের প্রেসিডেন্টের ডোলমাবাসি কার্যালয়ে মঙ্গলবার (২৯ মার্চ) দুদিনের এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। এর আগেও দুপক্ষের মধ্যে কয়েক দফা বৈঠক হয়েছে। তাতে নাগরিকদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিতে মানবিক করিডোর স্থাপনে ঐকমত্য ছাড়া বড় কোনো সফলতা আসেনি।ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযান বন্ধে আবারো আলোচনায় বসতে যাচ্ছে মস্কো-কিয়েভ। সোমবার এ আলোচনার বিষয়ে দুদেশের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইপ এরদোয়ান।তবে রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ বলেছেন, শান্তি আলোচনায় পশ্চিমা মধ্যস্থতা মেনে নেওয়া হবে না। এদিকে আলোচনার উদ্যোগের মধ্যেই মারিওপোলসহ বিভিন্ন শহরে নতুন করে রুশ বাহিনীর হামলা শুরু হয়েছে।
ইউক্রেনে প্রথম পর্বের সামরিক অভিযান বন্ধের ঘোষণা দিলেও সোমবার নতুন করে মারিওপোলসহ বেশ কয়েকটি শহরে হামলা চালায় রাশিয়া। এতে ধ্বংস হয়ে যায় বেশ কয়েকটি আবাসিক ভবন।মারিওপোলের মেয়রের দাবি, অভিযান শুরুর পর এ পর্যন্ত শহরটিতে প্রাণ হারিয়েছেন ৫ হাজারের বেশি মানুষ। এরমধ্যে শিশু রয়েছে দুশোর বেশি।
গত দুদিনে শহর ছেড়ে চলে গেছেন ১ লাখ ৭০ হাজার মানুষ। মারিওপোলের ৯০ শতাংশ আবাসিক এলাকা ধ্বংস হয়ে গেছে বলেও দাবি মেয়রের।এছাড়া সাতটি হাসপাতাল ও ৫৭টি স্কুল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে ২৩টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। মারিওপোলের হামলার মধ্যেই রাজধানী কিয়েভ উপকণ্ঠের ইরপিল শহরটি রুশ বাহিনীর কাছ থেকে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার দাবি করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।রুশ-ইউক্রেন বৈঠকের বিষয়ে এরদোয়ান বলেন, আশা করি, রাশিয়া এবং ইউক্রেনের প্রতিনিধিরা যুদ্ধবিরতি ও শান্তিচুক্তির বিষয়ে একটি সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারবেন। আমরা তাদের আলোচনার জন্য সুন্দর একটা পরিবেশ তৈরি করতে চাই। আমি নিজেও তাদের সঙ্গে আলাদাভাবে দেখা করব। প্রেসিডেন্ট পুতিন এবং জেলেনস্কির সঙ্গে টেলিফোনে কথা হয়েছে আমার। তারা দুজনই শান্তিচুক্তির বিষয়ে ইতিবাচক।শান্তি চুক্তির বিষয়ে ইস্তানবুলে বৈঠক হলেও সংঘাত বন্ধে পশ্চিমা দেশগুলোর কোনো মধ্যস্থতা মেনে নেওয়া হবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ। সংঘাত বন্ধে তুরস্কের উদ্যোগকে স্বাগত জানান তিনি।