*সময় সংবাদ লাইভ রির্পোটঃ রূপগঞ্জে হাসেম ফুডস কারখানায় অগ্নিকাণ্ডে দুই নারী শ্রমিকসহ তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। আগুন এখনও নিয়ন্ত্রণে আসেনি। কারখানার চারতলায় আগুন জ্বলতে দেখা গেছে। আগুনের লেলিহান শিখা চারদিকে ছড়িয়ে পড়ছে।
বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে ভুলতা কর্ণগোপ এলাকায় ওই কারখানায় আগুনের সূত্রপাত হয়। নারায়ণগঞ্জের জেলা পুলিশ সুপার জায়েদুল আলম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
আজ শুক্রবার (৯ জুলাই) সকাল ৮টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ডেমরা, কাঞ্চন, আড়াইহাজার ও নারায়ণগঞ্জ জেলার মোট ১৮টি ফায়ার সার্ভিসের ইউনিট।
নিহতরা হলেন- সিলেট জেলার যতি সরকারের স্ত্রী স্বপ্না রানী (৩৪) এবং রূপগঞ্জের গোলাকান্দাইল নতুন বাজার এলাকার হারুন মিয়ার স্ত্রী মিনা আক্তার (৩৩)।
রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনার পর আরেকজনের মৃত্যু হয়। তার নাম মোরসালিন (২৮) বলে জানিয়েছেন ঢামেক পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া। তার লাশ মর্গে রাখা আছে।
মোরসালিনের বাড়ি দিনাজপুর জেলার চিরিরবন্দর উপজেলার উত্তর সুবেদপুর গ্রামে। বাবার নাম আনিসুর রহমান। এক ভাই এক বোনের মধ্যে তিনি বড় ছিলেন।
এই ঘটনায় ২০ জন আহত হয়েছেন জানিয়ে পুলিশ সুপার জায়েদুল বলেন, তাদের উদ্ধার করে বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে ৭০ থেকে ৮০ জন শ্রমিক এখনও ওই ভবনের ভেতরে রয়েছেন বলে জানিয়েছেন অন্যান্য শ্রমিক ও নিখোঁজের স্বজনরা।
নিখোঁজ শ্রমিকদের স্বজন ও প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, ছয়তলা ভবনটির মধ্যে চতুর্থতলার শ্রমিকরা কেউ বের হতে পারেননি। সিকিউরিটি ইনচার্জ চারতলার কেচি গেটটি বন্ধ করে রাখায় কোনো শ্রমিকই বের হতে পারেননি। সেখানে ৭০ থেকে ৮০ জন শ্রমিক কাজ করতেন।
চতুর্থতলার শ্রমিকদের ইনচার্জ মাহবুব, সুফিয়া, তাকিয়া, আমেনা, রাহিমা, রিপন, কম্পা রানী, নাজমুল, মাহমুদ, ওমরিতা, তাছলিমাসহ প্রায় ৭০ থেকে ৮০ জন শ্রমিক নিখোঁজ রয়েছেন। নিখোঁজ শ্রমিকদের স্বজনরা কারখানার সামনে এসে ভিড় করছেন। তাদের আহাজারিতে কারখানার চারপাশ ভারী হয়ে উঠেছে।