সময় সংবাদ রির্পোটঃ দীর্ঘ দেড় বছরের ও বেশি সময় করোনার থাবায় বিপর্যস্ত দেশ।এতে অচল হয়ে পড়েছে দেশের শিক্ষাব্যবস্হা।তবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে মধ্যবিত্ত,নিন্মবিত্ত পরিবারের শিশুদের।অনেক শিশু পড়াশোনা থেকে ছিটকে পড়েছে।যা অনেক সময় ঝুঁকির মাত্রাকে অতিক্রম করে।ইটের ভাটা,কলকারখানা,রাসায়নিক গুদাম,ফ্যাক্টরিতে কাজ করেছে দেশের হাজার হাজার শিশু।এমনই এক শিশুর সাথে কথা হয় আমার। কেমন আছ?বলতেই চোখ ছলছল করে ওঠে ওর। বাবা বাড়িতে অসুস্থ। মা,দু তিন বাড়িতে কাজ করে। তিন বোন বাবা মা সহ৬ জনের পরিবার।
ওর নাম নুরজামান।করোনার আগে এক মাদ্রাসায় পড়ত নবম শ্রেনীতে।মায়ের উপার্জনের টাকা দিয়েই সংসার চলত।করোনা সময় মা কাজ হারান। তারপর? কেমন করে চলে তোমাদের সংসার।প্রশ্নের জবাবে নুরজামান বলল,”ভাই কি বলমু, ভাত ই খাইতে পারি নাই কতোদিন,কতরাইত না খাইয়া রইছি জানি না,এলাকার এক মানষের ধার দিয়া লোন লইয়া রিকশা কিনি।রিকশা দিয়া ই এহন চলে,কয়দিন মানুষ পাই,পাই না,আর ছোট মানউষ দেইখ্যা কেউ রিকশায় ওঠতেও চায় না,যদি কোন বিপদ হয় হেইতে। পড়ালেখার কি অবস্থা, ভাই লেহাপড়া ধুর,ভাতই খাতে পারি না,করোনার পর আর লেখাপড়া করতে পারি নাই। নুরজামান এর মতন এভাবেই হাজার হাজার শিশু করোনায় বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে লেখাপড়া থেকে,আর যুক্ত হচ্ছে নানা ঝুকিপূর্ণ পেশায়। আমরা সমাজের সবাই যদি ওদের প্রতি দৃষ্টি দেই,ওরা ভালো থাকতে পারে।আবারো লেখাপড়া করতে পারে।
প্রতিবেদক তানজীম আহমেদ নুহান মির্জাগঞ্জ, পটুয়াখালী