Header Border

ঢাকা, বুধবার, ১৪ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৩১শে বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ (গ্রীষ্মকাল) ২৭.১৮°সে
শিরোনাম
খিলগাঁও ও মেরাদিয়ার বুধবারের হাট নিয়ে কিছু স্মৃতি-আলমগীর পারভেজ দ্বিতীয় দিনের মতো শাহবাগে চলছে ছাত্র-জনতার বিক্ষোভ গভীর রাতে দেশ ছাড়লেন সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ গারুড়িয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্রকল্যাণ পরিষদ কর্তৃক বার্ষিক বনভোজন অনুষ্ঠিত ‘মার্চ ফর জাস্টিস’ কর্মসূচি ঘোষণা ছাত্রদলের ২০তম বিসিএস ফোরামের নতুন কমিটি : আহ্বায়ক জিয়াউদ্দিন,সদস্যসচিব আব্দুল্লাহ্ আরেফ আব্দুল্লাহ আরেফের অভিযানে সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীরের ক্যাশিয়ার রুহুল আমিন আটক! অভ্যুত্থানের ৪ মাস পেরোতেই ঐক্যে ফাটলের সুর হঠাৎ উধাও বোতলজাত সয়াবিন তেল, বিপাকে ক্রেতারা চড়া দামেই বিক্রি হচ্ছে মাছ, মাংস ও সবজি

শীর্ষ পদে যোগ্য নেতৃত্ব খুঁজছে আওয়ামী লীগ

সময় সংবাদ রিপোর্ট : আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে আগামী ডিসেম্বরে। এর আগে ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ আওয়ামী লীগ থেকে শুরু করে সারাদেশের বিভিন্ন শাখায় সব মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি ভেঙে দেওয়ার কথা ভাবছে দলটি। সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, আগামী নভেম্বরেই মেয়াদ শেষ হবে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগের বর্তমান কমিটির। কিন্তু তার আগেই এই দুই শাখায় সম্মেলন হতে পারে বলে খবর রটেছে। ফলে পরবর্তী কমিটিতে আসতে এর মধ্যেই দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন উত্তর-দক্ষিণের প্রায় ডজনখানেক নেতা। পোস্টার প্রকাশ, নিয়মিত অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ এবং নেতাকর্মীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে দেখা করার প্রবণতাও দেখা গেছে শীর্ষ পদপ্রত্যাশীদের মধ্যে।

জানা গেছে, ঢাকা উত্তর-দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরা আবারও মহানগরের নেতৃত্ব দিতে চান। আনুষ্ঠানিকভাবে দিন-তারিখ চূড়ান্ত না হলেও মহাগরের পরবর্তী নেতৃত্বে নিয়ে মহানগর থেকে শুরু করে কেন্দ্রীয় পর্যায়ে চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ। দায়িত্বরত কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের আশ্বাস মহানগরকে সুশৃঙ্খলভাবে নেতৃত্ব দিতে পারবেন এমন নেতাদেরই আনা হবে শীর্ষ পদে। এরই মধ্যে ঢাকা বিভাগে দায়িত্বপ্রাপ্ত আওয়ামী লীগের নেতারা ঢাকা মহানগরের সম্মেলন করার মানসিক প্রস্তুতি নিয়েছেন। দলের কেন্দ্রীয় সম্মেলনের আগে মহানগরের সম্মেলন হবে এমন দৃঢ় বক্তব্য দিচ্ছেন তারা। ঢাকা বিভাগে দায়িত্বপ্রাপ্ত দলের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম একাধিকবার দলীয় সভা-সমাবেশে বলেছেন, ডিসেম্বরের আগেই হবে মহানগরের সম্মেলন। এ ছাড়া শিগগিরই আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। সেখানে দলের ভ্রাতৃপ্রতিম ও সহযোগী সংগঠনগুলোর ঢাকা মহানগর শাখার সম্মেলনের তারিখও চূড়ান্ত হতে পারে।

আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির এক নেতা বলেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের তুলনায় গোটা ঢাকা মহানগর বেশি গুরুত্বপূর্ণ সাংগঠনিক এলাকা। কিন্তু দক্ষিণে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক থেকে শুরু করে দলের অন্য নেতারা দুভাবে বিভক্ত হয়ে রাজনীতি করছেন। দলীয় স্বার্থের কথা না ভেবে নিজেদের স্বার্থে নিজস্ব মানুষ তৈরিতে ব্যস্ত আছেন তারা। অথচ বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনগুলো অনেক পরীক্ষিত নেতাকে নেতৃত্বে নিয়ে এসেছে। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপিসহ অন্যান্য দলকে রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করতে আওয়ামী লীগের মহানগর দক্ষিণের এই কমিটি প্রায় অক্ষম। ফলে এখানে একটি শক্তিশালী ও গ্রহণযোগ্য কমিটি দরকার।

আওয়ামী লীগের সম্পাদক পর্যায়ের আরেক নেতা বলেন, একসময় ঢাকা মহানগরের সভাপতি ছিলেন মোহাম্মদ হানিফ, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়ার মতো নেতারা। কিন্তু বর্তমানে যারা আছেন তারা নানাভাবে বিতর্কিত। ঢাকা মহানগর উত্তরের তুলনায় দক্ষিণের কমিটি নিয়ে অভিযোগ বেশি। ইতোমধ্যে শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবীরকে শোকজ করা হয়েছে। তার প্রতি ক্ষোভও প্রকাশ করেছেন কেন্দ্রীয় নেতারা। এ ছাড়া পুরান ঢাকার স্থানীয় এমপি ও অগ্রজ-অনুজ নেতাকর্মীদের সঙ্গেও তার বোঝাপড়ার গরমিল রয়েছে। সেই সঙ্গে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের মধ্যে দ্বন্দ্ব লেগেই আছে। জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে মহানগরের এই দুর্বল ও অগ্রহণযোগ্য কমিটি কোনোভাবেই প্রত্যাশিত নয়।

এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, ঢাকা মহানগর শুধু নয়, সারাদেশের সব মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটিতেই সম্মেলন হচ্ছে। গ্রহণযোগ্য নেতৃত্ব আনার মধ্য দিয়ে ঢেলে সাজানো হবে মহানগর ও তৃণমূল আওয়ামী লীগকে। স্বজনপ্রীতি নয়, যোগ্যতার মধ্য দিয়েই আসতে হবে নেতৃত্বে।

২০১৯ সালের ৩০ নভেম্বর ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সম্মেলন হয়। সে অনুযায়ী তিন বছর মেয়াদি বর্তমান কমিটির সময় আগামী ২৯ নভেম্বর শেষ হবে। জানা গেছে, ঢাকা দক্ষিণ আওয়ামী লীগের বর্তমান সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী এবং সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির আবারও শীর্ষ পদে থাকতে চান। তবে বর্তমান কমিটির সহ-সভাপতি নুরুল আমিন রুহুল, ডা. দিলীপ রায়, শরফুদ্দিন আহমেদ সেন্টু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোরশেদ হোসেন কামাল ও মহিউদ্দিন আহমেদ মহি, সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম আশরাফ তালুকদার, আকতার হোসেন শীর্ষ পদপ্রত্যাশী। এ ছাড়া দক্ষিণের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদও শীর্ষ পদে আসতে চান। তবে এর জন্য তিনি আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ইঙ্গিতের অপেক্ষায় রয়েছেন।

অন্যদিকে ঢাকা উত্তর আওয়ামী লীগের বর্তমান কমিটির সভাপতি শেখ বজলুর রহমান এবং সাধারণ সম্পাদক এসএম মান্নান কচিও পরবর্তী কমিটিতে থাকতে চান। যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকদের মধ্যে হাবীব হাসান, মতিউর রহমান মতি, সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুল হক রানা, মিজানুর রহমান মিজানের নামও রয়েছে আলোচনায়।

আপনার মতামত লিখুন :

আরও পড়ুন

দ্বিতীয় দিনের মতো শাহবাগে চলছে ছাত্র-জনতার বিক্ষোভ
গভীর রাতে দেশ ছাড়লেন সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ
‘মার্চ ফর জাস্টিস’ কর্মসূচি ঘোষণা ছাত্রদলের
২০তম বিসিএস ফোরামের নতুন কমিটি : আহ্বায়ক জিয়াউদ্দিন,সদস্যসচিব আব্দুল্লাহ্ আরেফ
আব্দুল্লাহ আরেফের অভিযানে সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীরের ক্যাশিয়ার রুহুল আমিন আটক!
অভ্যুত্থানের ৪ মাস পেরোতেই ঐক্যে ফাটলের সুর

আরও খবর