সময় সংবাদ লাইভ রিপোর্ট: গাজীপুরে গত তিন দিনের ব্যবধানে ফের পৃথক দুটি স্থানে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় মামলা হয়েছে। গতকাল সোমবার রাতে শ্রীপুর থানায় এই মামলা হয়। এ ঘটনায় অভিযুক্ত একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
ভিকটিমের বরাত দিয়ে শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার ইমাম হোসেন জানান, গত রোববার রাতে বাজার থেকে কেনাকাটা শেষে বাড়ি ফেরার পথে তুলে নিয়ে এক নারীকে (৩০) ধর্ষণ করে ছয় বখাটে যুবক। ঘটনাটি ঘটে পাশের শ্রীপুরের বরমী ইউনিয়নের লাকচতল গ্রামে।
নির্যাতনের শিকার নারী পাশের কাওরাইদ ইউনিয়নের এক কৃষকের মেয়ে। আর অভিযুক্তরা হলেন, ওই গ্রামের আহমদ মোড়লের ছেলে মাসুদ (৩০), তার বন্ধু রহমত আলীর ছেলে আরফান (৩০), মৃত সুরুজ আলীর ছেলে দুলালসহ (৩২) অজ্ঞাতপরিচয় আরও তিন সহযোগী।
পুলিশ আরও জানায়, বিভিন্ন সময় মোবাইল ফোনে এ নারীকে উত্ত্যক্ত করতো মাসুদ নামের এক যুবক। এতে অতিষ্ঠ ওই নারী তার স্বজনদের নিয়ে যুবকটির বাড়ি গিয়ে উত্ত্যক্ত করতে নিষেধ করেন। এতে ওই যুবক ফের ফোন করে তাকে (নারী) সুযোগমতো পেলে ‘ক্ষতি’ করার হুমকি দিয়েছিলেন। হুমকি দেওয়ার কয়েকদিনের মধ্যেই পথে একা পেয়ে ওই নারীকে তুলে নিয়ে যায় ওই যুবকসহ তার পাঁচ সহযোগী। পরে বনের ভেতর নিয়ে তারা পালাক্রমে ধর্ষণ করে তাকে।
এদিকে, সোমবার দুপুরে উপজেলার মাওনা উত্তরপাড়া এলাকায় পোশাক কারখানার এক কর্মী সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হন। ঘটনার পর তিনি জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ ফোন দিলে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে। এ ঘটনায় অভিযান চালিয়ে শাওন নামে অভিযুক্ত একজনকে আটক করেছে পুলিশ।
শাওন মাওনা গ্রামের ওয়াদুদ মিয়ার ছেলে। এ ঘটনায় সুমন মিয়া নামের একজন পলাতক রয়েছেন।
পুলিশ জানায়, পোশাক কারখানার ওই শ্রমিক বাসা ভাড়া নিতে গেলে অভিযুক্তরা এই নারীকে তুলে নিয়ে ধর্ষণের পর তার কাছে থাকা নগদ ৯ হাজার টাকা, গলার স্বর্ণের চেইন ও মোবাইল ফোনসেট নিয়ে যায়।