সময় সংবাদ রিপোর্ট : দেশে দুর্নীতির মহোৎসব চলছে মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বাংলাদেশের যে সম্ভাবনাটা তৈরি হয়েছে, সেগুলোকে ধ্বংস করে ফেলার জন্য দুর্নীতি সবচেয়ে বড় ব্যাধি। এটা এখন ক্যানসারের মতো সারাদেশে ছড়িয়ে পড়েছে।তিনি বলেন, ‘ঘুষ দেওয়া ছাড়া কোনো কাজ হবে না, কথা শুনবে না; আইন-আদালতে বিচার পাবে না। সবচেয়ে খারাপ অবস্থাটা হচ্ছে আদালতে, সেখানে সব হুকুমে কাজ হয়; সেখানেও কোনো কাজ হয় না দুর্নীতি ছাড়া। এর কারণটা হচ্ছে সরকারের সর্বোচ্চ মহল থেকে দুর্নীতিকে আজকে প্রশ্রয় দেওয়া হচ্ছে।’সোমবার রাজধানীর গুলশানে দলের চেয়ারপাসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন। দুটি ইস্যুতে দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) চিঠি দিতে যাওয়ার আগে এ সংবাদ সম্মেলন করা হয়।দুদককে দেওয়া চিঠিতে সরকারের একজন উপদেষ্টার সঙ্গে মন্ত্রীর টেলিফোন কনভারসেশনের বিষয়বস্তু এবং ফরিদপুরে একটি পরিবারের ২ হাজার কোটি টাকার পাচারের বিষয়ে তদন্ত করতে অনুরোধ জানিয়েছে বিএনপি।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বাংলাদেশে বর্তমানে দুর্নীতির মহোৎসব চলছে। আপনারা এখন সাহস করে অনেক কিছু লিখেছেন, যার মাধ্যমে আমরা অনেক কিছু জানতে পারছি। আমরা দুর্নীতির বিষয়গুলো নিয়ে বিভিন্ন সময়ে কথা বলেছি। সরকারের একজন উপদেষ্টা (সালমান এফ রহমান) ও আইনমন্ত্রীর (আনিসুল হক) টেলিফোন কনভারসেশন যেটা আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল। সেই কনভারসেশনে যে বিষয়গুলো ছিল সেটা আমরা জানতে চেয়েছিলাম, এর তদন্ত হয়েছে কিনা তাও জানতে চেয়েছিলাম। ফরিদপুরের অত্যন্ত সেনসিটিভ একটি পরিবার সেই পরিবারের এক সদস্যের বিরুদ্ধে ২ হাজার কোটি টাকা অর্থ পাচারের অভিযোগ এবং তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এ বিষয়গুলো দেখা যাচ্ছে ধামাচাপা পড়ে যাচ্ছে। আর কোনো কথাই হচ্ছে না এগুলো নিয়ে। আমরা দলের সর্বোচ্চ ফোরামে সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে দুর্নীতির এ বিষয়গুলো নিয়ে আপাতত দুর্নীতি দমন কমিশনে চিঠি দেব। সেই চিঠিতে তাদের আমরা তদন্ত করার জন্য অনুরোধ করব। এরপর ধারাবাহিকভাবে প্রত্যেকটা ইস্যু যেটা আসছে সেটা আমরা জাতির কাছে তুলে ধরব এবং একই সঙ্গে দুদকে পাঠাব।’তিনি বলেন, ‘আমরা আশা করব দুদকের শুভবুদ্ধির উদয় হবে এবং আমরা দুর্নীতির যে বিষয়গুলো দিচ্ছি সেগুলোর ওপরে তারা সুষ্ঠু তদন্ত করে তা জাতির সামনে তুলে ধরবেন এবং ব্যবস্থা নেবেন।’ ফখরুলের অভিযোগ, দুদক অত্যন্ত সিনসেটিভ ইস্যুগুলো নিয়ে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।