সময় সংবাদ লাইভ রির্পোটঃ বেসরকারি মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক স্কুল অ্যান্ড কলেজে সহকারী অধ্যাপক পদ আর থাকছে না। এর পরিবর্তে হবে ‘জ্যেষ্ঠ প্রভাষক’ পদ। বেসরকারি শিক্ষকদের বিএড-এমএড ডিগ্রি উচ্চতর স্কেল হিসেবে গণ্য হবে না। এমন বিধান রাখা হয়েছে সংশোধিত নীতিমালায়। নাম পরিবর্তন হলেও বেতন স্কেল ও অন্যান্য আর্থিক সুবিধা আগের মতোই থাকবে।
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক সময় সংবাদ লাইভকে বলেন, উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়/স্কুল অ্যান্ড কলেজ/উচ্চমাধ্যমিক কলেজে সহকারী অধ্যাপক পদ থাকবে না। এসব প্রতিষ্ঠানে জ্যেষ্ঠ প্রভাষক পদ থাকবে। তবে এ নীতিমালা জারির আগে যারা সহকারী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত আছেন, তাদের পদবি বহাল থাকবে এবং বেতন স্কেল ও সুযোগ-সুবিধা বহাল থাকবে। নীতিমালা জারির পর এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সহকারী অধ্যাপক পদ নামে কোনো পদ থাকবে না। এ পদটি জ্যেষ্ঠ প্রভাষক হিসেবে পরিবর্তিত হবে। জ্যেষ্ঠ প্রভাষক এবং সহকারী অধ্যাপকের বেতন স্কেল ও আর্থিক সুবিধা একই রকম হবে। জানা গেছে, সংশোধিত নীতিমালায় বেসরকারি ডিগ্রি কলেজে সহকারী অধ্যাপক এবং উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জ্যেষ্ঠ প্রভাষক পদে ৫০ শতাংশ পদোন্নতির বিধান রাখা হয়েছে। এখন থেকে ডিগ্রি কলেজে আট বছর চাকরিপূর্তিতে প্রভাষক ও সহকারী অধ্যাপক পদের ৫০ শতাংশ নির্ধারিত বিভিন্ন সূচকে ১০০ নম্বরের মূল্যায়নের ভিত্তিতে সহকারী অধ্যাপক পদে পদোন্নতি দেওয়া হবে।
মাউশির মহাপরিচালক জানান, ডিগ্রি কলেজের এমপিওভুক্ত প্রভাষক পদে এমপিওভুক্তির তারিখ থেকে আট বছর সন্তোষজনক চাকরিপূর্তিতে প্যাটার্নভুক্ত প্রভাষক/সহকারী অধ্যাপকের মোট পদের ৫০ শতাংশ নির্ধারিত বিভিন্ন সূচকে ১০০ নম্বরের মূল্যায়নের ভিত্তিতে সহকারী অধ্যাপক পদে পদোন্নতি পাবেন। ভগ্নাংশের ক্ষেত্রে ০.৫ বা তার বেশি হলে পরবর্তী পূর্ণ সংখ্যা গণনা করে পদোন্নতি দেওয়া যাবে। এতে মোট পদ সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে না। অন্য প্রভাষকরা এমপিওভুক্তির ১০ বছর সন্তোষজনক চাকরিপূর্তিতে বেতন স্কেলের নবম থেকে অষ্টম গ্রেড প্রাপ্য হবেন এবং পরবর্তীতে ছয় বছরের মধ্যে অর্থাৎ ধারাবাহিকভাবে এমপিওভুক্তির ১৬ বছর সন্তোষজনক চাকরিপূর্তিতে সহকারী অধ্যাপক পদে পদোন্নতি পাবেন।
মহাপরিচালক আরও বলেন, পদোন্নতি ব্যতীত সমগ্র চাকরিজীবনে দুটির বেশি উচ্চতর গ্রেড/টাইম স্কেল পাবেন না। সহকারী অধ্যাপক পদ থাকবে শুধু ডিগ্রি কলেজে। উচ্চমাধ্যমিক কলেজ ডিগ্রি কলেজে উন্নীত হলে জ্যেষ্ঠ প্রভাষকদের পদবি সহকারী অধ্যাপক হিসেবে পরিবর্তিত হবে এবং বেতন স্কেল ও চলমান আর্থিক সুবিধাদি আগের মতোই থাকবে।
বেসরকারি শিক্ষকরা বিএড ও এমএড ডিগ্রি অর্জন করলে তা উচ্চতর স্কেল হিসেবে গণনা করা হবে না। এই ডিগ্রি থাকা শিক্ষকদের বেতন স্কেল হবে ১০ম গ্রেড। তবে এমপিওভুক্তির সময় এই ডিগ্রি না থাকলে এক ধাপ নিচে বেতন ধার্য হবে। আর পরবর্তী পাঁচ বছরের মধ্যে প্রশিক্ষণসংক্রান্ত এই ডিগ্রি অর্জন করতে হবে।
বেসরকারি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, ২০১৮ সালের জনবল কাঠামোয় শিক্ষকদের উচ্চতর গ্রেড পাওয়ার ক্ষেত্রে বিএড/এমএড বা সমমান ডিগ্রির জন্য প্রাপ্য স্কেল উচ্চতর গ্রেড হিসেবে বিবেচনা করায় বঞ্চিত হতেন শিক্ষকরা। নির্ধারিত দুটি স্কেলের একটি কমে যাচ্ছিল শিক্ষা ডিগ্রি অর্জনকে উচ্চতর গ্রেড হিসেবে গণনা করায়। সংশোধিত নতুন নীতিমালায় এ সমস্যা থাকছে না।
সময় সংবাদ লাইভ।