সময় সংবাদ রিপোর্টঃ চট্টগ্রাম টেস্টের দুই ইনিংসেই ব্যাটিং ব্যর্থতায় ভুগেছে বাংলাদেশ। প্রথম ইনিংসের মতো দ্বিতীয় ইনিংসেও ব্যর্থ হয়েছেন টপ অর্ডারের ব্যাটসম্যানরা। তবে প্রথম ইনিংস ও দ্বিতীয় ইনিংসে লিটন দাস ও মুশফিকুর রহিম যে দৃঢ়তা দেখিয়েছে, তাতে ম্যাচ দীর্ঘায়িত হলেও নিয়ন্ত্রণে ছিল না কখনোই। টপ অর্ডারে ব্যাট করা সাদমান ইসলাম, সাইফ হাসান, নাজমুল হোসেন শান্ত কিংবা অধিনায়ক মুমিনুল হক নিজেও রান করতে না পারায় আক্ষেপ ফুটে উঠেছে তার কণ্ঠে।প্রথম ইনিংসে সমান ১৪ রান করে ফিরেছেন সাদমান, সাইফ ও শান্ত। ৬ রান করেন মুমিনুল হক। দ্বিতীয় ইনিংসে সাদমান ফেরেন এক রানে, সাইফ ১৮ রানে এবং শান্ত-মুমিনুল ফেরেন শূন্য রানে। দুই ইনিংসে এমন ব্যর্থতার পর ঘুরে দাঁড়ানো যে কতটা কঠিন সেটা নিশ্চয়ই অনুমেয়। তবে লিটন-মুশফিকে সেটা সম্ভব হলেও তা ম্যাচ নিয়ন্ত্রণের জন্য যথেষ্ঠ ছিল না। টাইগার অধিনায়ক বলেন, ‘আমি বলব আমার আরও দায়িত্ব নিয়ে ব্যাট করা উচিত ছিল। চার নম্বরে যদি বড় ইনিংস খেলতে পারতাম, তাহলে ভালো দিক যেতে পারতাম। টেস্ট তো বটেই যেকোনো ফরম্যাটে ১০ ওভারের মধ্যে যদি ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলেন তাহলে যতই চেষ্টা করেন মোমেন্টাম দুই-তিনশো জুটি করলেও বিশাল রান হবে না। ফ্ল্যাট উইকেটে ৩৩০ করে বোলিং করা কঠিন। তাও তাইজুল খুব ভাল করেছিল বলে আমরা ফিরতে পেরেছিলাম।’দুই ইনিংসে ব্যাটিং ব্যর্থতার পরও টেস্ট পাঁচ দিন মাঠে গড়ানোতে কোনো স্বার্থকতা খুঁজে পান না বাংলাদেশ অধিনায়ক। তিনি বলেন, ‘কন্ট্রোল আপনাদের কাছে হয়ত পজিটিভ মনে হয়, তবে আমার মনে হয় আমরা নিয়ন্ত্রণে কখনই ছিলাম না। আমার মনে হয় মুশফিক ভাই-লিটন ভালো খেলাতে কিছুটা নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছি। তাইজুল পরে ভালো বল করেছে। ওইভাবে চারদিন পর্যন্ত টিকে ছিলাম।’
তারপরও এই টেস্টে অধিনায়কের প্রাপ্তির জায়গায় লিটনের সেঞ্চুরি, মুশফিকের প্রতিরোধ কিংবা তাইজুলের সাত উইকেট। তিনি বলেন, ‘দ্বিতীয় ইনিংসে যদি জুটি হতো তাহলে হয়ত নিয়ন্ত্রণ আসতো। আপনার কাছে মনে হলেও আমার তা মনে হয় না। তবে লিটন খুব আউটস্ট্যান্ডিং পারফর্ম করেছে, মুশফিক ভাই ভালো করেছেন। তাইজুল ফ্ল্যাট উইকেটেও দারুণ করেছে।’দুই ইনিংসে পাকিস্তানের ওপেনিং জুটি ছিল ১৪৬ ও ১৫১ আর বাংলাদেশের ৪৯ রানেই চার উইকেট নেই, আবার ২৫ রানেই নেই চার উইকেট। দুই দলের পার্থক্য নিয়ে তিনি বলেন, ‘অবশ্যই পার্থক্য এখানেই গড়ে দিয়েছে। প্রথম ইনিংসে ৪০ রানে ৪ উইকেট নেই (আসলে ৪৯/৪)। দ্বিতিয় ইনিংসেও ওরকম (২৫/৪)। উপরের যদি এই অবস্থায় হয়, তাহলে খেলায় ফেরা কঠিন। উপরে কেউ অবদান রাখলে খেলাটা অন্যরকম হতো।’
m/p..