সময় সংবাদ রিপোর্ট : সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজবের ছড়াছড়ি। প্রধানমন্ত্রীসহ রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের নামে বিরামহীনভাবে ছড়ানো হচ্ছে গুজব। প্রতিদিন শত শত আইডি থেকে এসব আজগুবি তথ্য ছড়িয়ে আতঙ্ক তৈরি করছে একটি মহল। পুলিশ বলছে, রাজনৈতিক ফায়দা, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি এবং ভিউ বাড়ানোর জন্য এসব গুজব ছড়ানো হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গুজব ছড়ানো হয়েছিল পঁচাত্তরেও। এখনই এসব মোকাবিলা করতে না পারলে সামনে বিপদের আশঙ্কা আছে।পদ্মা সেতুতে নাট বল্টু খোলা যুবক বায়েজিদের ফাঁসির রায় কার্যকর হয়েছে এমন কথা ছড়ানো হয়েছে টিকটকে। তবে, এটি গুজব। সত্য লুকাতে, দৃষ্টি অন্যদিকে সরাতে বা কোনো ফায়দা হাসিল করতে আজগুবি কিছু ছড়ালে তাকে গুজব বলে।সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে ছড়ানো হচ্ছে নানা আজগুবি তথ্য। এসব গুজবে প্রধানমন্ত্রীসহ রাষ্ট্রের অনেক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও সেলিব্রেটিদের নাম জড়ানো হচ্ছে।রাতেই প্রধানন্ত্রীর পদত্যাগ, সকালে ১৪৪ ধারা জারি’, ‘আরও ভয়ংকর হরতালের ডাক বিএনপির’, ‘উভয় সংকটে শেখ হাসিনা, যেকোনো মুহূর্তে পতন’, ‘ঢাকা ঘেরাও করেছে নূরবাহিনী’, ‘আন্দোলনে উত্তাল রাজপথ’- এমন আজগুবি তথ্য দিয়ে সংবাদ পরিবেশন করা হচ্ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।‘বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রীর বাসায় র্যাবের অভিযানে উদ্ধার করা হয়েছে কোটি কোটি টাকা’- এমন গুজব ছড়ানো হয়েছে ইউটিউবে। অন্য অভিযানের ছবি ব্যবহার করে ছড়ানো হয়েছে এই গুজব।সামজিক মাধ্যমে এমন সংবাদ দেখে অনেকে আবার বিশ্বাসও করছেন।
ঢাকায় থাকা ছেলে-মেয়ে কিংবা আত্মীয় স্বজনকে ফোন করে জানাচ্ছেন উৎকণ্ঠার খবর।প্রশ্ন হচ্ছে এসব গুজব কারা ছড়াচ্ছে, কেন ছড়াচ্ছে। সাইবার অপরাধ নিয়ে কাজ করা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বলছে, এসব গুজবের উৎস খুঁজতে গিয়ে দেখা যায় বেশিরভাগই দেশের বাইরে থেকে। ফলে তাদেরকে আইনের আওতায় আনা যায় না।গোয়েন্দা বিভাগের সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ তারিক বিন রশিদ বলেন, যারা দেশকে অস্থিতিশীল করতে চায় তারাই মূলত এমন কাজগুলো করে থাকে। তাই এসব খবর বিশ্বাস না করতে পরামর্শ দেন এই পুলিশ কর্মকর্তা। বলেন, ‘যেকোনো খবর শুনেই প্রতিক্রিয়া দেখাবেন না, আগে যাচাই করুন ঘটনা সত্য কি না। দেখা যায় এমন অধিকাংশ খবরই মিথ্যা।’তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নানা রকম ফায়দা লুটতে একটি মহল এই ধরনের গুজব ছড়াচ্ছে। তাই এখনই সতর্ক হওয়ার পরামর্শ।ফেসবুক, ইউটিউব ও টুইটারে কি পরিমাণ আইডি থেকে ছড়ানো হচ্ছে এসব গুজব এবং কোন কোন দেশ থেকে তার কোনো সঠিক পরিসংখ্যান নেই পুলিশের কাছে।