সময় সংবাদ লাইভ রিপোর্ট: দীর্ঘ এক মাস পর আজ রবিবার সীমিত পরিসরে খুলছে ৫৪টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগ। গত বৃহস্পতিবার ১৯টি মন্ত্রণালয়-বিভাগ সীমিত পরিসরে খোলা রাখার নির্দেশনা দিয়ে আদেশ জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। পরে সে আদেশ বাতিল করে জরুরি প্রয়োজনে সব মন্ত্রণালয়/বিভাগ ও তাদের অধীন অফিস খোলা রাখার নির্দেশনা দিয়ে সচিবদের চিঠি দেওয়া হয়। গতকাল শনিবার জনপ্রশাসন সচিব শেখ ইউসুফ হারুণ সময় সংবাদ লাইভকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
জনপ্রশাসনের আদেশ অনুযায়ী, ঢাকাসহ দেশের সব বিভাগ এবং জেলা-উপজেলা পর্যায়ে সরকারের ৫৪টি মন্ত্রণালয়ের অধীন সংস্থা ও বিভাগগুলো আজ খুলছে। তবে কাজ চলবে সীমিত পরিসরে। কোভিড-১৯ প্রতিরোধে সরকার ঘোষিত সাধারণ ছুটি ৫ মে পর্যন্ত চলবে।
তবে এর মধ্যেও গুরুত্বপূর্ণ ১৯টি মন্ত্রণালয়ের অধীন অফিসগুলো সীমিত আকারে খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। পরে অন্যান্য মন্ত্রণালয় ও বিভাগও জরুরি প্রয়োজনে খোলা রাখতে সংশ্লিষ্ট সচিবদের চিঠি দেয় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
এ প্রসঙ্গে জনপ্রশাসন সচিব শেখ ইউসুফ হারুণ গতকাল সময় সংবাদ লাইভকে বলেন, আমরা এর আগে ১৯টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগ খোলা রাখার নির্দেশনা দিয়েছিলাম। সে আদেশ প্রত্যাহার করেছি। সব সচিবকে তাদের প্রয়োজনে মন্ত্রণালয়ের অধীন অফিস খুলতে বলেছি। তারা তাদের প্রয়োজন মাফিক অফিস খুলতে পারবেন। এখন সরকার ঘোষিত সাধারণ ছুটির মধ্যে জরুরি সেবার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সব সরকারি অফিস প্রয়োজনে খোলা রাখা যাবে। ওইসব সরকারি দপ্তরের মাঠপর্যায়ের অফিসগুলোও সীমিত পরিসরে খোলা রাখা যাবে।
এদিকে মন্ত্রণালয় খুললেও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অফিসে যেতে পারবেন কিনা তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। কারণ সব কর্মচারী মন্ত্রণালয়ের গাড়ি সুবিধা পান না। এ ছাড়া করোনা পরিস্থিতির মধ্যে এক গাড়িতে গাদাগাদি করে কীভাবে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কর্মস্থলে নিরাপদে আনা হবে নিয়ে ভাবনায় পড়েছেন সংশ্লিষ্টরা। ফলে মন্ত্রণালয় খোলা থাকলেও কর্মচারীরা ঠিকমতো আসতে পারবেন না বলে মনে করেন কেউ কেউ।
এ প্রসঙ্গে জনপ্রশাসন সচিব বলেন, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিবরাই চিন্তা করবেন কীভাবে তারা তাদের কর্মীদের অফিসে আনা নেওয়া করবেন। এটি জনপ্রশাসন বলতে পারবে না।
আজ থেকে ৫ মে পর্যন্ত সারাদেশে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে গত বৃহস্পতিবার আদেশ জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধে ২৫ মার্চ থেকে চলমান সাধারণ ছুটি এ নিয়ে পঞ্চম দফায় বাড়াল সরকার। শ্রমিকদের স্বাস্থ্য বিধি রক্ষা করে শর্তসাপেক্ষে আজ থেকে রপ্তানিমুখী শিল্পকারখানাও খোলা রাখা যাবে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়েরে ছুটির আদেশে এ বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া আছে।
তবে কারখানা খুললেও গণপরিবহন বন্ধ থাকায় শ্রমিকরা গ্রাম থেকে কীভাবে ফিরবেন তা নিয়ে তাদের মধ্যে দুশ্চিন্তা দেখা দিয়েছে। সাভারের একটি গার্মেন্টের শ্রমিক মোহাম্মদ নাঈম মল্লিক সময় সংবাদ লাইভকে বলেন, ছুটিতে ঝুঁঁকি নিয়ে বাড়িতে চলে এসেছি, এখন আবার অফিস খুলেছে। অথচ বাস চলাচল বন্ধ। আমরা কীভাবে যাব? অফিসে না গেলে তো ছাঁটাইয়ের ভয় আছে। আমরা সংকটে পড়েছি।