দ্বিতীয় দফার বন্যায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত ছাতক ও দোয়ারাবাজার উপজেলা। ছাতকের সর্বত্র পানি থাকায় সড়ক-যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। ছাতক ও দোয়ারাবাজারের প্রায় সব ইউনিয়নেই বন্যায় কয়েক লাখ মানুষ পানিবন্দি। এখন পর্যন্ত ১০টি আশ্রয়কেন্দ্রে চার শতাধিক পরিবার আশ্রয় নিয়েছে।একইভাবে তাহিরপুর ও বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার প্রধান সড়কে পানি থাকায় ওই দুই উপজেলার সঙ্গেও সড়ক-যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।
এদিকে, বন্যায় বেশি ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে শিক্ষার্থীরা। বন্যা দেখা দেওয়ায় শিক্ষার্থীরা ঠিকমতো পড়াশোনা করতে পারছে না; আবার বিদ্যালয়গুলোতে বন্যার্তেরা আশ্রয় নেওয়ায় পাঠদানও বন্ধ রয়েছে।
সুনামগঞ্জের ছয় উপজেলার বন্যা পরিস্থিতির অবনতির তথ্য স্বীকার করে জেলা প্রশাসক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, ভারতের মেঘালয়ে বৃষ্টিপাত বেশি হওয়ায় দ্বিতীয় দফায় আবারও বন্যা দেখা দিয়েছে। এরই মধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে টাকা ও শুকনো খাবার দেওয়া হচ্ছে। আরও অর্থ ও প্যাকেটজাত খাবার বরাদ্দ দিতে মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে।