সময় সংবাদ লাইভ রিপোর্টঃ ‘হজ ও ওমরাহ ব্যবস্থাপনা আইন, ২০২০’-এর খসড়া অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। প্রস্তাবিত আইনের খসড়ায় হজগমনেচ্ছুদের প্রতারণা থেকে সুরক্ষা দিতে গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় যুক্ত করা হয়েছে।
গতকাল সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে ভার্চুয়াল মন্ত্রিসভা বৈঠকে উল্লিখিত আইনের খসড়াসহ মোট পাঁচটি বিষয় অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদসচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম মন্ত্রিসভার নতুন সিদ্ধান্তগুলো সাংবাদিকদের জানান। গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী ও সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীরা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে মন্ত্রিসভা বৈঠকে যোগ দেন।
হজ ব্যবস্থাপনায় কেউ যদি বাংলাদেশের হাজিদের সঙ্গে সৌদি আরবে গিয়েও প্রতারণা করেন, সেই প্রতারণা বাংলাদেশে করা হয়েছে বলে গণ্য হবে। বর্তমানে হজ ব্যবস্থাপনার সঙ্গে যুক্তরা সৌদি আরবে গিয়ে হাজিদের সঙ্গে করা অপরাধের জন্য শাস্তি পায় না। আইনি কাঠামো না থাকায় সরকারও কোনো পদক্ষেপ নিতে পারে না। অর্থাৎ অপরাধ করেও দায়মুক্তি পেয়ে যায় সংশ্লিষ্ট অপরাধীরা। প্রস্তাবিত আইনটি পাস হলে এ ধরনের প্রতারণার জন্য দেশে শাস্তি পেতে হবে প্রতারকদের।
প্রস্তাবিত আইনটি পাস হলে অনিয়মের জন্য হজ এজেন্সির নিবন্ধন বাতিল করা যাবে এবং সর্বোচ্চ ৫০ লাখ টাকা জরিমানাও করা যাবে। ওমরাহ এজেন্সির ক্ষেত্রে নিবন্ধন বাতিল ও ১৫ লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানা করা যাবে। আর অপরাধের জন্য কোনো হজ এজেন্সিকে যদি পর পর দুই বছর সতর্ক করা হয়, তাহলে লাইসেন্স দুই বছরের জন্য স্বয়ংক্রিয়ভাবে স্থগিত থাকবে।
বর্তমানে হজ ব্যবস্থাপনা নীতিমালার মাধ্যমে চলছে। এ নীতিমালার আলোকে নতুন এ আইনটি প্রণয়ন হচ্ছে।
মন্ত্রিপরিষদসচিব জানান, নীতিমালার মাধ্যমে কাজ করতে বিভিন্ন কারণে কিছু অসুবিধা হতো, প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া যেত না। নিলেও আদালত থেকে স্থগিতাদেশ নিয়ে আসতেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। আইনটি হলে হজ ব্যবস্থাপনা আরো ভালো হবে।
২০১১ সালে সৌদি আরব হজ ব্যবস্থাপনায় আমূল পরিবর্তন এনেছে। এর সঙ্গে চলতে গেলে আইনের প্রয়োজন। পাকিস্তান, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া এরই মধ্যে নতুন আইন করে ফেলেছে।