সময় সংবাদ রির্পোটঃ জঙ্গিগোষ্ঠী আইএস নির্মূলের পর অনেকটাই স্বাভাবিক ইরাক। তবে ইরাককে নিয়ে প্রতিবেশী দেশ ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের টানাহেঁচরা এখনো অব্যাহত। অর্থনৈতিকভাবে ভঙ্গুর এ দেশটিতে শান্তির সুবাতাস শুরু পর এবার মধ্যপ্রাচ্যের উত্তেজনা প্রশমনে উদ্যোগ নিয়েছে। দীর্ঘ দিনের প্রতিদ্বন্দ্বী দুই দেশ সৌদি আরব ও ইরানকে এক টেবিলে এনেছে ইরাক। আঞ্চলিক এ সম্মেলেন সৌদি আরবের প্রতিনিধিত্ব করছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল বিন ফারহান আল সৌদ। অন্যিদিকে ইরানের প্রতিনিধিত্ব করছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আব্দুল্লাহিয়ান।সম্মেলেনে আঞ্চলিক শান্তি প্রতিষ্ঠায় যে কোনো দেশের সঙ্গে কূটনৈতিক আলোচনার কথা জানিয়েছে রিয়াদ। নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠায় যে কোনো দেশের সার্বভৌমত্বের প্রতি শ্রদ্ধা রয়েছে বলে জানান দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
প্রিন্স ফয়সাল বিন ফারহান বলেন, সহিংসতা নিরসণ ও শান্তি প্রতিষ্ঠায় আমাদের অংশগ্রহণ অব্যাহত থাকবে। আঞ্চলিক নিরাপত্তায় যে কোনো দেশের সঙ্গে কূটনৈতিকভাবে আলোচনা করতে চাই আমরা। সৌদি আরব সবসময় ইসলামি দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারে কাজ করছে। মানুষের মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠা ও স্থিতিশীলতা রক্ষায় আমরা সব সময় চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।আর ইরানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর ভ্রাতৃত্ব ও সৌহার্দপূণ্য সম্পর্ক ধরে রাখতে চাই। আঞ্চলিক নিরাপত্তায় কাধে কাধ মিলিয়ে কাজ করতে তেহরান প্রস্তুত বলেও জানান তিনি। এ সময় আঞ্চলিক নিরাপত্তা হুমকির জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে দায়ী করেন ইরানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
ইরানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আব্দুল্লাহিয়ান বলেন, যুক্তরাষ্ট্র কখনোই এ অঞ্চলের মানুষের শান্তি ও নিরাপত্তা চায় না। তার প্রমাণ আমরা দেশে দেশে দেখতে পাচ্ছি। ইরান মধ্যাপ্রাচ্যের দেশগুলোর উন্নয়নে হাতে হাত রেখে কাজ করতে প্রস্তুত। আমরা সম্মিলিতভাবে সন্ত্রাসীদের প্রতিহত করতে চাই।
বাগদাদের এ সম্মেলনকে আরব অঞ্চলের প্রধান গুরুত্বপূর্ণ দেশ হিসেবে ইরাকের প্রত্যাবর্তন হিসেবে দেখছেন দেশটির রাজনীতি বিশ্লেষকরা। মধ্যপ্রাচ্যে
স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে মধ্যস্থতাকারী দেশ হিসেবে আরব বিশ্বে নতুন ভূমিকায় আসতে পারে ইরাক। তাই এই ভূমিকায় প্রতিদ্বন্দ্বী দেশগুলোকে একই টেবিলে বসানো একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবেই দেখা হচ্ছে।
স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে মধ্যস্থতাকারী দেশ হিসেবে আরব বিশ্বে নতুন ভূমিকায় আসতে পারে ইরাক। তাই এই ভূমিকায় প্রতিদ্বন্দ্বী দেশগুলোকে একই টেবিলে বসানো একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবেই দেখা হচ্ছে।
সৌদি আবর ও ইরানের পাশাপাশি সম্মলেনে অংশ নিয়েছেন কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি, মিশরের প্রেসিডেন্ট আব্দেল ফাত্তাহ আল সিসি এবং ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ।
M/p…