সময় সংবাদ রিপোর্ট : করোনা মহামারির দুই বছর পর আসছে স্বস্তির ঈদ। আবারও চেনারূপে ফিরবে মহাসড়ক। ঢল নামবে বাড়িফেরা মানুষের সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এবার মহাসড়কের অবস্থা গত কয়েক বছরের তুলনায় অনেক ভালো। যানজট, গতি নিয়ন্ত্রণ ও বিশেষ পয়েন্টে নজরদারি বাড়ানো গেলে যাত্রা হবে নির্বিঘ্ন।দুই বছর মহামারির বিধিনিষেধের পর এবারে আসছে স্বস্তির ঈদ। দীর্ঘদিন বাদে আবারও বাড়িফেরা মানুষের ঢল নামছে মহাসড়কে। তবে সেই চাপ নিতে কতটা তৈরি মহাসড়ক সেটাই দেখার বিষয়।পদ্মা সেতুর কল্যাণে দেশের প্রথম এক্সপ্রেসওয়ে ঢাকা মাওয়া রুট এখন স্বপ্নের পথ। এই পথে ফরিদপুর, মাদারীপুর, বৃহত্তর খুলনা আর বরিশালে এবারই শেষ বারের মতো হয়তো উঠতে হবে ফেরিতে। এরপরেই স্বপ্নের সেতুতে বাড়ি ফেরা।
ঢাকা টাঙ্গাইল মহাসড়কে উঠতে এবারও ভোগান্তি হবে ইপিজেড এলাকায়। তবে দীর্ঘদিনের ভোগান্তির নাম চন্দ্রা এবার ফিরছে নতুন রূপে।এই মহাসড়কের কাজ প্রায় শেষ, তবে চন্দ্রার পরে কয়েক কিলো চলাচলের পরে হঠাৎই থেমে যেতে হবে গোড়াই শিল্পাঞ্চলে এসে। হাঁটুভাঙ্গা বাসস্ট্যান্ডে নির্মাণাধীন একটি ওভারপাস হতে পারে এই পথে মাথা ব্যথার সবচেয়ে বড় কারণ।দীর্ঘদিন ধরেও এই এলাকার ওভারপাসের কাজ শেষ না হওয়ায় এখানে স্বাভাবিক সময়েও গাড়ির জট লেগে থাকে। কয়দিন পর ঈদের চাপ বাড়লে পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে বলে ধারণা সবার। যদিও দেখা গেল, ঈদের আগে তা চলাচলের উপযোগী করারও তোড়জোড় চলছে।
চালক ও যাত্রীরা জানালেন, এই পথে ধল্যা, পাকুল্লা ও করটিয়াসহ বেশ কয়েকটি এলাকায় বাড়াতে হবে ট্রাফিকের নজরদারি। সঠিক লেন মেনে যানবাহন চললে নির্বিঘ্নেই ফেরা যাবে বাড়ি।অন্যদিকে ঢাকা-সিলেট মহামড়কে রয়েছে স্বস্তির সুবাস। ভুলতা-গাউছিয়া ওভারবাস তৈরি হওয়ায় এই পথে নজরদারি বাড়ালেও খুব একটা বেগ পেতে হবে না বাড়ি ফিরতে।এদিকে কাঁচপুর ব্রিজের কাজ শেষ হওয়ায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে খানাখন্দ তেমন কিছু নেই। দুই একটি পয়েন্টে এরই মধ্যে চলছে মেরামতের কাজ।তবে সড়ক ভালো থাকলেও মদনপুরের ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ না করতে পারলে এই পথে ভোগান্তির আশঙ্কা রয়েছে। খেয়াল রাখতে মেঘনা-গোমতীর টোল প্লাজায় যেনো যানবাহনকে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষায় থাকতে না হয়।তবে হতে পারে হিতে বিপরীতও। ফাঁকা মহাসড়ক পেয়ে চালকরা হয়ে উঠতে পারেন বেপরোয়া। তাই নজর রাখতে হবে গতির দিকেও।