মোঃ আবদুস সালাম হাওলাদার, মির্জাগঞ্জ প্রতিনিধি,সময় সংবাদ লাইভঃ বাতাস,রোদ ও বৃষ্টির খেলায় ঘূর্ণিঝড়”ইয়াস”দুর্বল হইয়া পড়লেও এর প্রভাবে সৃষ্ট জলোচ্ছ্বাসে গৃহবন্দি মির্জাগঞ্জের লাখো মানুষ। উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের মধ্যে ৫ টি ইউনিয়নের শতাধিক গ্ৰাম ঘূর্ণিঝড়”ইয়াস” এর প্রভাবে সৃষ্ট বন্যায় তলিয়ে গেছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ১ ও ৪ নং ইউনিয়নের এক তৃতীয়াংশ এবং ২নং মির্জাগঞ্জ ইউনিয়নের সবগুলো গ্ৰাম। এসব গ্ৰাম পায়রা ও শ্রীমন্ত নদীর তীর ঘেঁষা হওয়ায় বেড়িবাঁধ ভেঙে নদীর পানি লোকালয়ে ঢুকে ঘরবাড়ি, রাস্তা ঘাট, ফসলের খেত তলিয়ে যায়। এখন পর্যন্ত ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে কোন হতাহতের খবর পাওয়া না গেলেও এসব এলাকার কৃষকের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। সৃষ্ট বন্যায় কৃষকের পানের বরোজ,কলা বাগান,বীজ সহ রোপা আউশ পানিতে তলিয়ে গেছে। মাছের ঘের বানের পানিতে ভাসিয়ে নিয়ে গেছে। রাস্তা ঘাট ও ফসলের খেত পানিতে ডুবে যাওয়ায় গো-খাদ্য নিয়ে ঘূর্ণিঝড় দুর্গত কৃষকেরা চরম সংকটে পড়েছে। বন্যার পানি লোকালয়ে আঁটকে থাকায় ব্যাপক দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে।এতে এলাকায় বিভিন্ন ধরনের পানিবাহিত রোগ যেমন কলেরা,ডায়োরিয়া,আমাশয় ও ইনফ্লুয়েঞ্জার প্রাদুর্ভাব ঘটার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।সর্প দংশনের ভীতিতে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছে এ এলাকার মানুষেরা। ঘূর্ণিঝড় ইয়াস, পূর্ণিমা, চন্দ্রগ্ৰহন ও ভরা কাটাল এই চারের কারণে এবারের ঘূর্ণিঝড়ে বেশি পানি প্লাবিত হয়েছে বলে মত বিশিষ্টজনদের।এ দিকে ঘূর্ণিঝড় দুর্গত এলাকা পরিদর্শন করেছেন এলাকার জনপ্রতিনিধি সহ উর্ধ্বতন প্রশাসনিক কর্মকর্তারা। তাঁরা ক্ষয়ক্ষতি নিরুপন করে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন।