সময় সংবাদ রিপোর্টঃশিক্ষার্থীদের জন্য বাসে ‘হাফ পাস’ চালুর বিষয়ে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) ও অংশীজনদের মধ্যে সভা শেষ হয়েছে। বৈঠকে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। আপাতত মালিকরা হাফ পাসে রাজি নন। বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে বনানীতে বিআরটিএর প্রধান দফতরে সভা শুরু হয়। শুরুর দেড় ঘণ্টার মধ্যেই বৈঠক শেষ হয়ে যায়।
বৈঠকে বাস মালিকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, বেসরকারি বাসে সরকার ভর্তুকি দিচ্ছে না। যানজটে সড়কে ট্রিপ কমে গেছে। টায়ারসহ বিভিন্ন যন্ত্রাংশের দাম বেড়ে গেছে। এ অবস্থায় ঢাকাসহ বিভিন্ন মহানগরে শিক্ষার্থীদের জন্য হাফ পাস চালু করা হলে বাসমালিকদের লোকসান গুনতে হবে।
এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির নেতারা নিজেদের মধ্যে আলাপ আলোচনা করে বাসে হাফ পাসের বিষয়ে তাদের একটি প্রস্তাব সরকারের কাছে তুলে ধরবে।
বৈঠক শেষে গণমাধ্যমকর্মীদের এ তথ্য জানান সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব মো. নজরুল ইসলাম। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে ঢাকা মহানগরে শিক্ষার্থীরা বাসে হাফ ভাড়ার দাবিতে আন্দোলন করছেন। তাদের এই দাবির প্রতি গুরুত্ব দিয়ে সরকার এই সমস্যা সমাধানের জন্য আন্তরিক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, ‘সরকার শিক্ষার্থীদের এ দাবির প্রতি বিশেষভাবে গুরুত্ব দিচ্ছে বলেই আজকে আমরা বৈঠকে অংশীজনদের নিয়ে বসেছি। বেসরকারি বাসে অর্ধেক ভাড়ার বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত আমরা চাপিয়ে দিতে পারি না।কারণ বাসে কত শতাংশ ভাড়া ছাড় দিতে হবে আমরা আজ সেই সিদ্ধান্ত দেওয়ার পর বাস মালিকরা ধর্মঘট ডাকতে পারেন। তাতে জনদুর্ভোগ বাড়বে।’
মো. নজরুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা পরিবহন মালিক সমিতিকে নিজেদের মধ্যে আলাপ-আলোচনা করে একটি যুক্তিসঙ্গত প্রস্তাব দেওয়ার জন্য বলেছি। তারা দ্রুত সময়ের মধ্যে এ প্রস্তাব আমাদের কাছে দেবেন। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিকে বলা হয়েছে, তারাও তাদের একটি প্রস্তাব আমাদের কাছে দেবেন। সব পক্ষ দ্রুত প্রস্তাব জমা দেবে।’
বিআরটিসি তাদের বাসে শিক্ষার্থীদের জন্য একটি সুবিধা দেবে। কারণ তাদের নতুন বাস যুক্ত হয়েছে। এ বিষয়ে বিআরটিসি প্রতিনিধি বৈঠকে সম্মত হয়েছেন। এ নিয়ে শুক্রবার সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বক্তব্য দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
সভায় সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিবের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব, কারিগরি ও মাদরাসা বিভাগের সচিব, আইজিপি, পরিবহন মালিক সমিতির প্রতিনিধি, শ্রমিক ফেডারেশনের প্রতিনিধিরা।