ডেইলি নিউজ রিপোর্ট, কুড়িগ্রাম॥ কুড়িগ্রামে নিজের ১৩ দিনের কন্যা শিশুকে টয়লেটে ফেলে হত্যার অভিযোগ উঠেছে এক নারীর বিরুদ্ধে। শনিবার ঘটনাটি ঘটেছে জেলার নাগেশ্বরী উপজেলার বামনডাঙ্গা ইউনিয়নের প্রত্যন্ত চরাঞ্চলের গ্রাম লুচনী।
পুলিশ টয়লেট থেকে ওই শিশুকন্যার লাশ উদ্ধার এবং মা বিলকিছকে আটক করেছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, লুচনী গ্রামের জেলাল উদ্দিনের ছেলে বায়েজিদের সাথে ৭ বছর আগে বিলকিছের বিয়ে হয়। তাদের ৫ বছর বয়সী একটি কন্যা রয়েছে। ১৩ দিন আগে আরও একটি কন্যার জন্ম হয়। তার নাম রাখা হয় কুলসুম।
শনিবার দুপুরের দিকে কুলসুমকে দেখতে না পেয়ে বায়েজিদের ছোট ভাইয়ের স্ত্রী খোঁজাখুঁজি করলে বাড়ির টয়লেটে ওই শিশুর মরদেহ পাওয়া যায়। শিশুর মা বিলকিছ কোনও সদুত্তর দিতে না পারায় তার বিরুদ্ধে হত্যার ব্যাপারে সন্দেহ করেন পরিবারের লোকজন। ঘটনাটি স্থানীয় চৌকিদার সোলায়মান থানায় জানালে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে শিশুটির লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে এবং বিলকিছকে আটক করে। নাগেশ্বরী থানার অফিসার ইনচার্জ জাকির উল ইসলাম গণমাধ্যমকে জানান, বায়েজিদ এবং তার বাবা কাজের জন্য জেলার বাইরে আছেন। তারা বাড়ি ফিরলে মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া শেষ হবে। তিনি আরও জানান, পরিবারের লোকজনের অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিলকিছকে আটক করা হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।